পরিত্যক্ত ছোপা থেকে নতুন জাতের ধান উৎপাদন
মোস্তাফিজার রহমান বাবলু, রংপুর : একই জমিতে মাছ চাষসহ ধান উৎপাদনের পরও ধান গাছের গোড়া থেকে ধান ফলিয়ে রংপুরে ভাগ্যের চাকা ঘুড়াতে শুরু করেছেন কৃষকরা। বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউপির গোবর গাড়ি পাকার মাথা গ্রামের আলহাজ সিরাজুল ইসলাম মন্ডল চলতি ইরি (বোরো) মৌসুমে দেড় একর জমিতে বোরো (ব্রি-২৮) রোপণ করেছিলেন। যথারীতি পরিচর্যা শেষে তিনি জমির ধান কাটেন। পরবর্তিতে ওই জমিতে নাড়া (ধান কাটার পর অবশিষ্ট অংশ) হতে ধান গজিয়ে পাকতে শুরু করেছে। এ ছাড়াও কৃষক সিরাজুল ইসলাম একই জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।
কৃষক সিরাজুল ইসলামের এ প্রতিবেদককে জানান, প্রতি বছর দেড় একর জমিতে বোরো ধান কাটার পরও কোন ধরনের খরচ ছাড়াই নাড়া হতে প্রায় ৪০ মণ করে ধান উৎপাদন করে আসছেন কয়েক বছর ধরে। আবার জমিটি নিচু হওয়ায় সারা বছর দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
বদরগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় জানান, বোরো (ব্রি-২৮)ধান কাটার পর নাড়া থেকে পুনরায় ধান হয়, সে জন্য কৃষককে সঠিকভাবে জমির দেখভাল করতে হয়। ইউরিয়া ও পটাশের সঠিক ব্যবহার করে নাড়া থেকে বেশি পরিমাণ ধান উৎপাদন করা সম্ভব।
উপজেলা কৃষি অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, ব্রি-২৮ ধান কাটার পর নাড়া থেকে ধান হয়। ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনে এ ধরনের ধানের আবাদ হচ্ছে। এ দেশের রংপুর বিভাগে এ ধরনের আবাদ করার জন্য একটি এন.জি.ও (আর.ডি.আর.এস) এ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল তবে তারা সফলকাম হতে পারেনি। একই জমিতে দেশিয় প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করায় কৃষকদের আরও বেশি লাভবান হতে সাহায্য করবে।