কাহালু খাদ্য গুদামের অবকাঠামো ব্যবস্থা নাজুক
মুনসুর রহমান তানসেন, কাহালু : বগুড়ার কাহালু উপজেলার ৯ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা জনসাধারণের ধান-চাল সংরক্ষণের জন্য একটি মাত্র সরকারি খাদ্য গুদাম রয়েছে। গুদামের ভিতরে ৫টি গুদামের প্রতিটির ৫০ মে.টন করে মোট ধারণ ক্ষমতা মাত্র আড়াই হাজার মে.টন। এই ৫টি গুদামের মধ্যে ১ নম্বরটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই গুদামের পাটফরম ভেঙ্গে গেছে। ওয়ালগুলোতে বড় বড় ফাটল ধরেছে। আরো ২টি গুদাম অনেক দিনের পুরাতুন।
সে-দুটির অবস্থাও তেমন ভালো নয়। এই গুদামে প্রায় ১০ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী কর্মরত আছেন। তাদের জন্য নেই তেমন কোনো আবাসন ব্যবস্থা। গুদামের নেই কোনো নির্দিষ্ট অফিস ঘর। কর্মচারীদের থাকার জন্য দুটি কক্ষে পিড়াপিড়ি করে চালানো হচ্ছে খাদ্য-গুদামের কাজকর্ম। বর্তমানে যেখানে অফিস তার সাথেই একটি কক্ষে খুবই কষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে বাস করছেন। প্রায় ৩৫/৪০ জন লেবার এখানে প্রতিনিয়ত কাজ করেন। তাদের জন্য নেই কোনো টয়লেট ব্যবস্থা। একটি পৌরসভা ও ৯ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কাহালু উপজেলার বিশাল জনগোষ্ঠির জন্য আড়াই হাজার মেঃটন ধারন ক্ষমতার একটি মাত্র খাদ্য গুদাম। এখানকার বিশাল জনেেগাষ্ঠীর কথান বিবেচনা করে নতুন খাদ্য-গুদাম নির্মাণসহ উল্লেখিত সমস্যা সমাধান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলে অনেক মনে করছেন। এখানে বাড়তি খাদ্য গুদাম না থাকলে আগামীতে বিশেষ করে মিলার ও কৃষকরা অনেকটা বিপদে পরবে। চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ৭০ মেঃটন ধান কেনার টার্গেট রয়েছে। প্রায় ৭ হাজার মেঃটন চাল ক্রয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ সরকারিভাবে কেনা ধান-চাল সংরক্ষণের জায়গার অভাব। জায়গা না থাকার কারণে প্রথমে কৃষক তারপর চাতাল ব্যবসায়ীসহ খাদ্য-গুদামের সাথে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক তারা অনেকেই ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।
কাহালু উপজেলা খাদ্য-নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান ও খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম সবুজ জানান। কাহালু সদরের খাদ্য গুদামে অবকাঠামো নির্মাণসহ আরো খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে তারা মনে করছেন।