নৌ-স্থলের ৬১২ পয়েন্ট দিয়ে আসছে ইয়াবা
এম.আমান উল্লাহ, কক্সবাজার : কক্সবাজারে ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় ইয়াবা পাচারকারীরা। কৌশল পাল্টিয়ে নৌ-স্থল ও আকাশ পথ দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে ইয়াবা পাচার। গত তিন দিনে ২টি বড় চালান বিজিবি আটক করলেও থেমে নেই ইয়াবা পাচারকারীরা। স্থল পথে প্রশাসনের তল্লাশি বেড়ে গেলে পাচার হয় নৌ-পথে। এ ছাড়া আকাশ পথেও পাচার হচ্ছে ইয়াবা।
ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমারের নৌ ও স্থলের ৬১২টি পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ঢুকছে বাংলাদেশে। তা এখন অপ্রতিরোধী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছু মাদকদ্রব্য উদ্ধার করলেও আইনি দুর্বলতার কারণে মাদক সংক্রান্ত বিপুল মামলা বছরের পর বছর ঝুলে আছে। সম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করেছে।
কক্সবাজারের একজন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা জানিয়েছেন, মরণনেশা ইয়াবার মহামারী আকার নিয়েছে। দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গেছে। যার অধিকাংশই যুবক ও কিশোর। আর মাদকের ওপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে।বর্তমানে ঈদকে সামনে নিয়ে তারা আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত দুইদিনে বিজিবি জব্দ করেছে প্রায় ৪ লাখ ইয়াবা।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় এখন মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আসে উৎপাদিত হয়ে, সেখানে গড়ে উঠেছে কারখানা। বাংলাদেশে প্রবেশ করা ইয়াবা টেকনাফ, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে চালান হয়। বর্তমানে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় ইয়াবা তৈরির ৩৭টি কারখানা গড়ে উঠেছে। অথচ ২০১০ সালে কারখানা ছিল মাত্র চারটি।
৩৭টি কারখানায় শুধুমাত্র বাংলাদেশকে টার্গেট করেই ইয়াবা উৎপাদিত হয়ে থাকে। এসব ইয়াবা বাংলাদেশে পাচার হয়ে আসছে দশ জন এজেন্টের মাধ্যমে। এদের মধ্যে চারজনকে ইতোমধ্যে শনাক্ত করতে পেরেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি নাথ জানিয়েছেন, ইয়াবার আগ্রাসন রোধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে। কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না ইয়াবা পাচারকারী ও ব্যবসায়ীদের। ঈদকে সামনে রেখে পুলিশ সর্তক রয়েছে।