মেডিকেলে ভর্তিতে প্রশ্ন ফাঁস রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার
রিকু আমির : মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় ‘প্রশ্ন ফাঁস’ বা ‘প্রশ্ন ফাঁস গুজব’ রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এজন্য মেডিকেলে ‘ভর্তিকেন্দ্রিক কোচিং সেন্টার’ বন্ধের বিষয়টিই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আরও ভালো ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য কেন্দ্র সংখ্যা কমিয়ে আনার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে ৩ হাজার ২১২টি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সাড়ে ৬ হাজার আসনসহ প্রায় ১০ হাজার আসনের জন্য আগামী সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অতি সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এ পরীক্ষাকেন্দ্রিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক সূত্র জানায়, ভর্তির আগে কয়েক বছর ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে সরকারকে যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তাই এবার আগাম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোচিং সেন্টার বন্ধের পাশাপাশি পরীক্ষার আগে ও পরে ফেসবুক-টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধও রাখা হতে পারে। বিষয়টি পর্যালোচনাধীন। বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা, মেডিকেল কলেজের প্রধান, চিকিৎসক নেতা, সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক একজন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনে বলেন, এর আগেও কোচিং সেন্টার বন্ধের বিষয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল; কিন্তু বাস্তবায়িত হয়নি।
সূত্রে জানা গেছে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম নিতে চান না। বৈঠকে বক্তারা বলেন, এসব কোচিং সেন্টারের মালিক, পরিচালনাকারীরা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক, শিক্ষক, তারা সরকারের সঙ্গেও নানাভাবে যুক্ত। ভর্তি পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজবসহ সব ধরনের ষড়যন্ত্র রোধে মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করে দেওয়া দরকার সবার আগে।
তাদের মতামত, সারা দেশের ২৩টি পরীক্ষা সেন্টার না রেখে ঢাকায় ৫-৬টি ও বিভাগীয় পর্যায়ে একটি করে সেন্টার করা যেতে পারে। এতে পরীক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম আরও নির্বিঘœ করা যাবে।
বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে সবার মতামত শুনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আপনারা মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার বন্ধসহ পদক্ষেপ গ্রহণের পক্ষে মতামত দিয়েছেন, তা আমলে নেওয়া হবে। আমি চাই যে কোনো মূল্যে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছ হোক। সম্পাদনা : দীপক চৌধুরী