
রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়ে উত্তরায় অস্ত্র রাখা হয়েছিল : রিজভী
কিরণ সেখ : অশুভ উদ্দেশে রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়ে রাজধানীর উত্তরার ১৬ নং সেক্টরের একটি খালে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ফেলে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। পাশাপাশি তিনি বলেন, তুরাগ নদীতে যে অস্ত্র পাওয়া গিয়েছিল, সেটিও একই সূত্রে গাঁথা এবং একই মহাপরিকল্পনার অংশ। গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, যে অস্ত্রগুলো উদ্ধার হয়েছে এধরনের অস্ত্র মূলত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমদানি ও ব্যবহার করে থাকে। পিস্তলগুলোর মধ্যে ৯৫টি ৭ পয়েন্ট ৬২ বোরের পিস্তল; যা পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে। ফলে এটি আর রহস্যের মধ্যে নেই, ক্রমাগতভাবে রহস্যের কুয়াশা ভেদ করে মানুষের মনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা ছাড়া তুরাগ নদীর খালে এই অস্ত্রগুলো পৌঁছাতো না। অস্ত্রগুলো আনা হয়েছিল অপরাধীদের জন্য, অপরাধ সংগঠিত করতে।
তিনি আরও বলেন, রাজধানীর উত্তরা ১৬ নং সেক্টরের একটি খাল থেকে গত রোববার ও সোমবার বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ কমিশনার কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই বিএনপি ও বিরোধী দলকে উদ্দেশ্য করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার শুধু অনভিপ্রেতই নয়, তার বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর স্বভাবসূলভ বক্তব্যের সমতূল্য। তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যই প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
সাঁড়াশি অভিযান শেষ হলেও গ্রেফতার বাণিজ্য এখনও অব্যহত রয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এখন আবার ক্রসফায়ারের হিড়িক পড়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সরকারের জিম্মায় ক্রসফায়ার হয় কীভাবে? বন্দুকযুদ্ধে বন্দুকের শব্দ জনগণ শুনতে পায় না কেন? এসব বন্দুকযুদ্ধকে ঠান্ডা মাথার খুন বলে ব্যক্ত করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুন অর রশীদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি
