বৃত্তি প্রদানে দুর্নীতি এড়াতে সফটওয়্যার চালু
নাসিমুজ্জামান সুমন : বাংলাদেশে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানের জন্য গতকাল বুধবার একটি সফটওয়্যার চালু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রকৃত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাছাইকরণ ও উপবৃত্তি প্রদানে স্বচ্ছতা আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, যোগ্য শিক্ষার্থী তার যোগ্যতা অনুসারে উপবৃত্তি পাচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতেই এই সফটওয়্যার চালু করা হচ্ছে।
সফটওয়্যারটি কীভাবে কাজ করবে? বিবিসি বাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে প্রকল্পের পরিচালক শ্যামা প্রসাদ বেপারী বলেন, এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে পূরণ এবং আপলোড করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সেটা ডাউনলোড করা হবে। এই একই কাজ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে করতে হলে শিক্ষার্থীদের প্রায় ২২টি স্তর পাড়ি দিতে হয়। যা খুবই সময় সাপেক্ষ। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেটি কমে আসবে বলে আশা করছি।’
সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সম্বন্ধে তিনি বলেন, এই সফটওয়্যারটি কেবল একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য। একজন শিক্ষার্থী যেমন ফরম ফিলাপ করে, ঠিক সেইভাবে তারা অনলাইনে ফরম ফিলাপ করে আপলোড করে দেবে, যা আমরা সহজেই ডাউনলোড করে নেব।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থী নির্বাচনের জন্য দুইটি কমিটি রয়েছে। একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি। অন্যটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি। যখন নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীদের তথ্য আমাদের কাছে আসবে তখন সেই তথ্য দেখে আমরা নির্ধারণ করতে পারবো শিক্ষার্থীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থান। এর ফলে বৃত্তি প্রদানের জন্য ছাত্র-ছাত্রী নির্বাচনে স্বচ্ছতা আসবে।
তিনি জানান, এ বছরে কলেজ পর্যায়ে ৭ হাজার ৭৩টি কলেজে বৃত্তি প্রদান করব। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির জন্য ১ শত কোটি ৪৫ কোটি ৯৩ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা বৃত্তি প্রদান করা হবে। এটি ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ছেলে মেয়েকে প্রদান করা হবে। যাদের বৃত্তি প্রদান করা হবে তার শুধু মেধাবী হলেই বৃত্তি দেওয়া হবে তা নয় বরং দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের এই বৃত্তি প্রদান করা হবে। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ