ফাঁসির মঞ্চ থেকে বিয়ের পিঁড়িতে
রাশিদ রিয়াজ : ফাঁসির রশি যার জন্যে অপেক্ষা করছিল সেই ব্যক্তি কি না বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে। ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে খারাজ শহরে রেজা শাহ কারাগারে মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন পার করছিলেন মৃত্যুদ-প্রাপ্ত এক আসামি । ২৯ বছরের ওই আসামির সঙ্গে গত বছর কারাগারেই পরিচয় হয় এক দর্শণার্থী মেয়ের। এরপর সেই মেয়েটি তাকে মুক্ত করতে সাহায্য করার উদ্যোগ নেন। তাদের সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। আসামি তার ভাতিজাকে খুন করেছিলেন পারিবারিক কলহ ও দ্বন্দ্বের কারণে। মেয়েটি সেই খুনের ঘটনা অবহিত হওয়ার পর দায়িত্ব নেন নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের। ২০০৯ সালে ওই ব্যক্তি খুন করার পর বিচারে মৃত্যুদ- হয় তার এবং এর পর থেকে তিনি জেল খাটছিলেন।
মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামির প্রেমিকা নিহতের পরিবারের সঙ্গে বোঝাপড়ায় সমর্থ হন। ঠিক হয় ৫৭ হাজার মার্কিন ডলার বা কুড়ি লাখ রিয়াল (ইরানি মুদ্রা) ক্ষতিপূরণ দিলে নিহতের পরিবার মাফ করে দেবেন ওই মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিকে। ইরানে এধরনের ক্ষতিপূরণ ‘ব্লাডমানি’ হিসেবে পরিচিত। শেষ পর্যন্ত নিহতের বাবা নির্দিষ্ট ওই অর্থের বিনিময়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিকে মাফ করে দেন। এরই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার কারাগারেই আসামির সঙ্গে তার প্রেমিকার বিয়ে সম্পন্ন হয়।
ইরান ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে নিহত বা ক্ষতিগ্রস্তের পরিবারের সিদ্ধান্তের ওপর দ-প্রাপ্ত ব্যক্তির সাজা হ্রাস কিংবা মওকুফ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এজন্যে নিহত বা ক্ষতিগ্রস্তের পরিবারকে অর্থদ- হিসেবে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। এমনকি কোনো ধরনের অর্থদ- ছাড়াও যদি ক্ষতিগ্রস্তের পরিবার মাফ করে দেয় তাহলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি মুক্তি পেতে পারে। তেহরান টাইমস