লানিনার প্রভাবে এবার বন্যা গত আট বছরের মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে!
আরিফুর রহমান : আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাবে এ বছর দেশে দুর্যোগ বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্ষায় অতি বৃষ্টি ও বড় বন্যার পূর্বাভাস দিচ্ছেন আবহাওয়া অধিদফতর। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাপমাত্রার পরিবর্তনই এর অন্যতম কারণ বলে মনে করেন তারা।
বিশ্বে এ বছর আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাব দেখা গেছে। তীব্র তাপদাহ, বজ্রপাত ও সর্বশেষ আঘাতহানে ঘূর্ণিঝড় রোয়ান। আবহাওয়াবিদদের ভাষায় একে বলা হচ্ছে এলনিনোর প্রভাব। এতেই শেষ হচ্ছে না আবহাওয়ার বিরুপ চক্র, আসছে লানিনা। তবে তার আগেই রয়েছে অতি বৃষ্টির সম্ভাবনা। জুনের শেষ দিকে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা। ইনডিপেনডেন্ট টিভি
পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের গবেষক ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে এর মধ্যেই বর্ষা মৌসুম চলে আসছে। এই সময়ে আবার মেডিয়েন ও জুলিয়েন আসতেছে। ধারণা করা হচ্ছে এবার লানিনা ফেসেও আমরা যাব। সব মিলিয়ে এই বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে অনেক বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই সময় বড় ধরনের বর্ষা হতে পারে। আমাদের দেশে বড় বর্ষাগুলো আগস্টের শেষের দিকে এবং সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে হয়ে থাকে’।
লানিনা চক্রের প্রভাব দেখা যাবে জুলাই-আগস্টে। এতে এ অঞ্চলে বড় বন্যার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘লানিনার প্রভাব এবং তার সঙ্গে অন্যান্য যে ফেনমেনা আছে সেগুলোর প্রভাবে বাংলাদেশে বর্ষা মৌসুমে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে’।
আবহাওয়াবিদদের বিশ্লেষণ গত আট বছরের চেয়ে এবার বেশি হবে বন্যার ব্যাপকতা। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়বে কৃষিখাত।
আবহাওয়া অধিদফতরের কৃষি আবহাওয়াবিদ শামীম হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে আমাদের তথ্যগুলো মাঠপর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরকে আমরা জানাবো। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফসল রক্ষার জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেটা তারা দেখবেন’।
বন্যা পূর্বাভাস সংস্থা জানিয়েছে ১৯৮৮, ১৯৯৮ ও ২০০৭ সালে লানিনার প্রভাবে বড় বন্যা হয়ে ছিল। অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী এ বছরও বড় বন্যার আশঙ্কা করছে আবহাওয়াবিদরা। সম্পাদনা:রাশিদ রিয়াজ