দেশ অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে : খালেদা
কিরণ সেখ : বর্তমান ক্ষমতাসীনরা দেশ পরিচালনার নামে অন্যের হাতে দেশ তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
গতকাল বুধবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম আজিজুল হক। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সেলিমা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আসার পর থেকেই অন্যের হাতে দেশ তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। আর এ জন্য তারা ‘সরকার’ গুম ও খুন করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। ফলে একমাত্র জনগণই পারে এ অবস্থা পরিবর্তন করতে।
তিনি বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ( বিজিবি) দেশ ও সীমান্ত রক্ষায় ব্যর্থ। কারণ অন্য দেশের রক্ষীরা আমাদের সীমান্তের ভিতরে প্রবেশ করে মানুষ হত্যা করে চলে যাচ্ছে। অথচ বিজিবি ও সরকার কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না। বেগম জিয়া বলেন, মায়ানমারের বিমান বাংলাদেশের আকাশ সীমান্ত আইন ভঙ্গ করেছে। অথচ বাংলাদেশের বিজিবি কিছু করতে পারছে না। আমাদের বিজিবি এখানেও অসহায়।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, আমি দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই, কোন রাজনৈতিক দল বড়, আর কোন রাজনৈতিক দল ছোট, সেটা বড় কথা নয়। কারণ বর্তমান হিন্দু ও মুসলিমসহ সকল ধর্ম সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন চলছে। তাই নিজেদের ও পরিবারকে রক্ষা করতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র না, এটা পুলিশি রাষ্ট্র, তাদের ইচ্ছা মতো দেশ চলছে। ফলে তাদের ‘পুলিশ’ যাকে ইচ্ছে ধরছে। আর এ জন্য প্রতিবাদ করারও কোনো সুযোগ নেই, প্রতিবাদ করলেই জেল। আদালত ও আইন নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছে না বলেই এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন খালেদা। দেশের সার্বভৌত্ব আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।