অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করলেন মতিয়া
মাহমুদুল আলম : প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তবে এই প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদের ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এক হার আর সরকারি কর্মচারীরা পায় আরেক হার। এটা কেন? গতকাল জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী এভাবেই সমালোচনা করেন অর্থমন্ত্রীর। একই সঙ্গে অর্থমন্ত্রীকে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর প্রস্তাব থেকে সরে আসার আহ্বানও জানান তিনি।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, সঞ্চয়পত্র হচ্ছে সঞ্চয়ের একটি মাধ্যম। এরমধ্যে অবরসপ্রাপ্ত লোকজন, মহিলা, বৃদ্ধ, ওয়েজ আর্নার, নিম্ন মধ্যবিত্তরা রয়েছেন, এরা সরকারের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পান না। এরা সঞ্চয়পত্রের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। সরকার তাই সঞ্চয়পত্র বিক্রি নিরুৎসাহিত করতে পারে না। যারা সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেন তারা কারও কাছে হাত পাততে পারেন না। অথচ আমরা সঞ্চয়পত্রের সুধের হার কমানোর কথা বলছি। আমরা ভাবছি না লাখ লাখ সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরশীল লোকেরা কীভাবে বাঁচবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা কি লাখ লাখ মধ্যবিত্তকে অসহায়ত্বের দিকে ঠেলে দেবো? বলা হয় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বেশি হওয়ার কারণে ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়ছে, এটা ঠিক নয়। বাস্তবে হয় তার উল্টো। সঞ্চয়পত্রে দুই ধরনের সুদের হার দেওয়া হয়। এই বৈষম্য চলতে পারে না। অর্থমন্ত্রীকে বলবো সুদের হার কমালে, বয়স্ক লোকদের ভাতা দেন। কারণ এই স্তরের লাখ লাখ বৃদ্ধ/বৃদ্ধার প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুই ধরনের সুদের হার। সরকারি কর্মচারিরা পায় বেশি হারে সুদ। সাধারণ মানুষ পায় কম হারে।
মতিয়া আরও বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে বিশ্বের শক্তিধর দেশ এবং দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীরা গুপ্তহত্যায় মেতে উঠেছে। শক্তিধর দেশগুলো চোরকে বলে চুরি করতে, আর গৃহস্থকে বলে সাবধান থাকতে। এরা সর্প হইয়া দংশন করে ওঝা হইয়া ঝাড়ে। তারা একদিকে লাদেনের প্রশংসা করে, আবার প্রয়োজন পড়লে সমুদ্রে ফেলে দেয়। এরা একই শক্তি।
চোরাগোপ্তা হত্যাকা- নিয়ে সময়ে অসময়ে শক্তিধর এসব দেশের আহা উহুর সীমা নেই উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, এখন ওই দেশগুলোতে একের পর এক, গ-ায় গ-ায় মানুষ খুন হচ্ছে। এমনকি এমপিকেও হত্যা করা হচ্ছে। মন্ত্রী জঙ্গিবাদবিরোধী ফতোয়ার জন্য আলেমদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ফতোয়ার জন্য দস্তখত সংগ্রহেও বাধা দিয়েছিল জঘন্য খুনি জঙ্গিরা। এই জঙ্গিদের কর্মকা-ে সারা বিশ্বে শান্তির ধর্ম ইসলামে বিশ্বাসী মুসলমানদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরির বাজার হুমকির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা আছে।