রোজা মানুষের চারিত্রিক গুণাবলী দৃঢ় করে
আমিন ইকবাল : আল্লাহর হুকুম মেনে চলতে হলে বিশেষ ধরনের মানসিক দৃঢ়তা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলীর প্রয়োজন। রমজানের রোজা মানুষের এই চারিত্রিক গুণাবলী সৃষ্টি ও দৃঢ় করতে বিশেষ সহায়তা করে। একমাস রোজা পালনের আগে একজন মুসলমানের যে অবস্থা থাকে, রোজা রাখার পর সেই অবস্থা থাকে না। তার মধ্যে বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের সময় ডটকম আয়োজিত রমজানবিষয়ক বিশেষ আয়োজন ‘আমাদের রমজান’-এ এসব কথা বলেন, রাজধানী ঢাকার জামিয়া ইসলামিয়া দিলুরোড মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আবু বকর সাদী।
মাওলানা আবু বকর সাদী বলেন, রমজানের পর রোজাদারের মধ্যে বিশেষ যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করা যায়, তা হলোÑ ১. সে নিজেকে আল্লাহর একজন একনিষ্ঠ বান্দা হিসেবে গণ্য করতে থাকে। ২. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ছাড়া তার জীবনের দ্বিতীয় কোনো লক্ষ্য থাকে না। ৩. যে কোনো অবস্থায় যে কোনো সময় আল্লাহর হুকুম মেনে চলার জন্য সে নিজেকে প্রস্তুত রাখে। ৪. আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান। তিনি সব কিছু দেখেন, জানেন ও শুনেনÑ এ অনুভূতি তার মধ্যে বিশ্বাস ও প্রত্যয়ের পর্যায়ে পৌঁছে যায়। ফলে আল্লাহর হুকুমের বিরোধী কোনো কাজ করার ক্ষমতাই সে হারিয়ে ফেলে।
দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র সহ-সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুবের উপস্থাপনায় তিনি আরও বলেন, রোজা মুসলমানের মধ্যে সবচেয়ে বড় যে গুণটির সৃষ্টি করে তা হচ্ছে, এর মাধ্যমে বান্দা ও আল্লাহর মধ্যে একটা একনিষ্ঠ সম্পর্কের সূত্রপাত হয়। বান্দা একদিকে স্বেচ্ছায় ও সানন্দে আল্লাহর কর্তৃত্ব মেনে নেয়। তার সব হুকুম মেনে চলতে থাকে। আর অপরদিকে আল্লাহ ও বান্দাহর সমস্ত কাজ সুনজরে দেখতেও পছন্দ করতে থাকেন। তাই সারাদিন অভুক্ত থাকার কারণে রোজাদারের মুখে যে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়, তা আল্লাহর কাছে মৃগণাভির চাইতেও সুগন্ধময়। তাই হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন, ‘রোজা আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান’ রোজাদারের জন্য আল্লাহর ঘোষণা প্রমাণ করে যে, রোজা আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি করে।