সন্ত্রাসবাদীদের এক বিন্দু প্রশ্রয় নয় : সংসদে শেখ হাসিনা
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে যা যা করার দরকারÑ বাংলাদেশ তাই করবে। বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ যাতে না থাকে, সেজন্য ইতোমধ্যে আমরা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। কোনো মতেই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেব না বলে ইতোমধ্যেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে হুইপ শহীদুজ্জামান সরকারের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সৌদি বাদশাকেও জানিয়েছি, অন্যান্য মুসলিম দেশকেও জানিয়েছি এবং আমরা এব্যাপারে খুব দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আজকে যেসমস্ত ঘটনা ঘটছে, এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে। ইসলাম শান্তি ধর্ম, এ শান্তির ধর্মের সম্মান যেন আরও উচ্চতায় নিতে পারি, সে প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এ আহ্বানটা আমি সব সময়ই করে থাকি। আমি মুসলিম উম্মাতে যতবার গেছি এ প্রশ্নটা সব সময় তুলেছি। সৌদি আরব একটা উদ্যোগ নিয়েছে, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাস দমন করার জন্য জোট করেছে। সেই জোটে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে এবং প্রায় ৪০টি দেশযুক্ত হওয়ার ফলে আজকে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গোটা মুসলিম উম্মার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সেই সুযোগে বাংলাদেশও আছে।
প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, সৌদি আরবে সেনার পাঠানোর বিষয়ে আমরা বলেছি, কাবা শরিফ ও মক্কায় হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক রক্ষায় বাংলাদেশ প্রয়োজনে সেনা পাঠাবে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে সম্পূরক প্রশ্নে জানতে চান, সাবেক ধর্মমন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদ সৌদি আরবে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে তাকে দেশে এনে শাস্তির ব্যবস্থা করবেন কিনা? জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরকম অনেক অপরাধী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রয়েছে এবং বাংলাদেশ সব সময় সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, ওয়ারেন্ট রয়েছে তাদের ফিরিয়ে এনে সাজা দেওয়া বাংলাদেশের কর্তব্য। যে আমাদের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করবে যাতে, এ আসামিকে ধরে নিয়ে এসে সাজা দেওয়া যায়। সম্পাদনা : বিশ্বজিৎ দত্ত