আলআমিন আলম
বরকতম মাহে রমজান চলছে। এ মাসে মা বোনদের ব্যস্ততা অনেক। তারা সারা বছরই ব্যস্ত থাকেন বিশেষ করে রমজানে তাদের ব্যস্ততা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কিন্তু এ মাস ইবাদতের মাস। এই মাসের প্রতিটি দিন উপোস করে, সংযমের সঙ্গে কাটানো। এর সঙ্গে সাহরি ও ইফতার এর আয়োজন আর আছে তারাবিহ। ফরজ নামাজ ও অন্যান্য আমলের পাশাপাশি নফল ইবাদত, তেলাওয়াত এবং দান-খায়রাতের সম্পর্কও এ মাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। মাহে রমজানের এই বিষয়গুলোর প্রতি তাই সবার সচেতন হওয়া আমাদের প্রত্যেকের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বাড়ির নারীদের প্রতি।
রমজানে ঘরের প্রয়োজনীয় কাজে তাদেরই সবচেয়ে বেশি শ্রম ও সময় দিতে হয়। সংসারের কঠিন কাজগুলোর পাশাপাশি ইফতার, সাহরি, রাতের খাবারের প্রস্তুতিসহ পরিবারের রোজাদার সদস্যদের নানা চাহিদা মেটানোর পেছনে নিজেদের নিয়োজিত রাখেন। আবার তারা রোজাও রাখেন। ফরজ, ওয়াজিব, নফল ইবাদতে নিমগ্ন হওয়ার আবশ্যকতা ও আগ্রহ তাদের মাঝেও থাকে। সারাদিন রোজা রাখার কারণে অবসাদ ও ক্লান্তিও তারা বোধ করেন। কিন্তু পরিবারের পুরুষ-সদস্যরা প্রায় সময়ই নারীদের এই দিকটির প্রতি খেয়াল রাখেন না। এটা রমজান ও রোজার সংযমনীতির সঙ্গে বিপরীত হয়ে যায়।
ঘরের নারীদের জন্য আমরা যা করতে পারি। রমজানে নারীদের ঘরোয়া কাজের প্রতি খুব লক্ষ্য রাখা প্রয়োজনে আলোচনা করা তার সুযোগ সুবিধা নিয়ে। আর তার এই বিশাল কর্ম যজ্ঞকে আলচনায় এনে তার প্রশংসা করা ও শুকরিয়া আদায় করা। সাহরি-ইফতার ও অন্য যে কোনো আয়োজন কখনো মনমত ও রুচিমাফিক না হলে ধৈর্য্য ধরা আর এ কথা মনে করা, সারাদিন রোজা আর ব্যক্তিগত আমল করার পরও এই খাবার আমার সামনে এনে দিয়েছে এটি অসামান্য অবদান।
আর অনেক উত্তম হতে পারে তাকে তার প্রতিটা কাজে সাহায্য ও সহযোগিতা করা। আর নিজে হাত লাগিয়ে তাদের কাজে সাহায্য করলে নারীরা অনেক বেশি আনন্দিত হন। আবার সহযোগী কাজের মানুষের ব্যবস্থা করেও তার কষ্ট কমানোর চেষ্টা করা যায়।
পরিবারের নারী সদস্যদের প্রতি সদাচার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের জন্য প্রয়োজন। রমজানুল মাসে এর প্রাসঙ্গিকতা আরও অনেক বেশি। সেজন্য রমজানে এ বিষয়টির প্রতি সবার বিশেষ মনযোগ থাকা দরকার।