আবু সাঈদ যোবায়ের
জীবিকার তাগিদ, পড়াশোনাসহ নানা কারণে আমাদের দেশের একটি বড় জনগোষ্ঠি দেশের বাইরে অবস্থান করে। তাদের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থের রেমিট্যান্স আমাদের জাতীয় আয়ে বরাবরই বিরাট অবদান রাখছে। রমজান মাসে এই প্রবাসীদের অনেকেই দেশে যাকাতের অর্থ পাঠিয়ে থাকেন। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের অনেক ধনাঢ্য মুসলিম ব্যক্তিরাও তাদের যাকাতের অর্থ বিভিন্ন দরিদ্র মুসলিম দেশে পাঠিয়ে দেন।
এখন প্রশ্ন হল, কোন দেশের যাকাত ভিন্ন দেশে বা কোন শহরের যাকাত ভিন্ন শহরে পাঠানো যাবে কি? এক্ষেত্রে ইসলামের সমাধান হল, বিনা প্রয়োজনে কোন এলাকার (দেশ, শহর, নগর) যাকাত অন্য এলাকায় প্রেরণ করা মাকরুহ। প্রতিটি এলাকার যাকাত সংশ্লিষ্ট এলাকায় বণ্টন করাই উত্তম। তবে বিশেষ কিছু কারণে অন্য এলাকায় যাকাতের অর্থ প্র্রেরণ করা যেতে পারে। যেমন-
১. যাকাতদাতার আত্মীয় স্বজন ভিন্ন এলাকায় বসবাস করে। এবং তারা যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত। তখন সে এলাকায় যাকাত প্রেরণ করা উত্তম। কেননা, এতে দুটি সওয়াব পাওয়া যাবে। একটি হল দানের সাওয়াব। অপরটি হল, আত্মীয়দের সাথে সদাচরণের সাওয়াব। সূত্র : ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯০)
২. যদি যাকাত দাতার শহরের তুলনায় অন্য শহরের লোকজন বেশি অভাবগ্রস্থ হয়, তাহলে তাদের কাছে যাকাত পাঠানো যাবে। কেননা, যাকাত আদায় করার উদ্দেশ্য হল, অভাবগ্রস্থদের প্রয়োজন পূর্ণ করা। হযরত মুআয রা. যাকাত উসূল করে অধিকাংশ সময় তা মদীনার দরিদ্র মুহাজিরদের জন্য পাঠিয়ে দিতেন।সূত্র : ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯০
৩. যদি যাকাত দাতা এক শহরে থাকেন, আর তার সম্পদ বা ব্যবসা ভিন্ন শহরে থাকে তাহলে যে শহরে সম্পদ বা ব্যবসা সে শহরের দরিদ্ররা যাকাত প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। সূত্র : রাদ্দুল মুহতার, ২/৩৩৫