যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত করতে সক্ষম উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত হানার সক্ষমতা পেয়েছে উত্তর কোরিয়া। বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এমন দাবি করেছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি ‘মাঝারি পাল্লার কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের’ পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ তদারকির পর তিনি এ কথা বলেন। বিবিসি
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার উত্তর কোরিয়া মাঝারি পাল্লার বলে প্রতীয়মান হওয়া দুটি ‘মুসুদান’ জাতীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এর মধ্যে প্রথম পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে বলে জানায় দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু দ্বিতীয়টি জাপানের বরাবর অনেক উঁচুতে উঠে ৪০০ কিলোমিটার দূরে সাগরে গিয়ে পড়ে। উত্তর কোরীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি না করে সাফল্যজনকভাবে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। কেসিএনএ-র প্রতিবেদনে ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে ‘হওয়াসং-১০’ বলা হয়েছে; কোরীয় ভাষায় হওয়াসং অর্থ মঙ্গল গ্রহ। এতে কিমের উদ্ধৃতি প্রকাশ করা হয়, তাতে কিম বলেন, ‘প্রশান্ত মহাসাগরে আমেরিকানদের ওপর কার্যকরভাবে হামলার সামর্থ্য আছে আমাদের।
ভ্রাম্যমান মঞ্চ থেকে উৎক্ষেপণ করা এই ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা তিন হাজার কিলোমিটার। পুরো জাপান ও প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন দ্বীপ গুয়াম ক্ষেপণাস্ত্রটির আওতায় পড়বে। এদিকে উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের ‘অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘণ’ বলে বর্ণনা করে এর নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়াও এ বিষয়ে নিরাপত্তা মূলক এক জরুরি বৈঠক ডেকেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর কোরিয়ার উপকূল থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দেয়ার সময় এক হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় উঠেছিল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জাপানের কোনো এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রটি গিয়ে যেন না পড়ে তা নিশ্চিত করতে উত্তর কোরিয়া সচেতনভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি উপরের দিকে নিক্ষেপ করেছে। তবে উত্তর কোরিয়ার এমন পরীক্ষাকে নিজেদের নিরাপত্তায় আঘাত হিসেবে দেখছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।