লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে আমজাদ সাবরির জানাজা সম্পন্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লাখো ভক্ত, সমর্থক, বন্ধু-স্বজনের উপস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রখ্যাত কাওয়ালি শিল্পী আমজাদ সাবরির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর লিয়াকোটাবাদের ফোরকানিয়া মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তাকে পাপসনগর গোরস্থানে বাবার কবরের পাশে দাফন করার কথা রয়েছে। ৪৫ বছরের সাবরি বুধবার (২২ জুন) রমজান উপলক্ষ্যে একটি টিভি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে লিয়াকোটাবাদ এলাকা দিয়ে নিজের গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে তিনি মারাত্মক আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে আব্বাসি শহীদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায়, দুই মোটরসাইকেল আরোহী থার্টি-বোর পিস্তল ব্যবহার করে সাবরিকে পাঁচটি গুলি করে। একটি গুলি সাবরির মাথায় লাগে। এতেই তার মৃত্যু হয়। হামলাকারীরা হাসান স্কয়ার দিয়ে পালিয়ে যায়। সিন্ধু হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ছেলে অ্যাডভোকেট আওয়াইস আলী শাহকে অপহরণের ঘটনায় আইন প্রয়োগকারী বাহিনী যখন নিরাপত্তা জোরদারের দাবি করেছে তখনই এ হামলা হয়।
বৃহস্পতিবার হাসপাতালের মর্গ থেকে আমজাদ সাবরির মরদেহ তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। গুণী এ শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার বাড়িতে ছুটে যান সংগীতশিল্পী, অভিনয় শিল্পী, ক্রীড়াবিদসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। এর আগে, সাবরি হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার রাতভর লাহোর, ইসলামাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করেন ভক্তরা। এ ঘটনার নিন্দা জানান তারা। ডন, বিবিসি
পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মুশতাক মেহার সাবরি হত্যাকা-কে পরিকল্পিত হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, হত্যাকা-ের কারণ এখনও জানা যায়নি। এদিকে আমজাদ সাবরির ভাই সারওয়াত সাবরি দাবি করেছেন মৃত্যুর আগে তার ভাই কোনও হত্যার হুমকি পাননি।
২০১৪ সালে কাওয়ালি শিল্পী আমজাদ সাবরির বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার দায়ে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট একটি নোটিশ জারি করে। সকালে কাওয়ালি গান গাওয়ার জন্য সাবরিসহ দুটি টেলিভিশনকেও এ নোটিশ পাঠানো হয়। তবে বুধবার সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।আমজাদ সাবরি ছিলেন পাকিস্তানের কাওয়ালি গানের প্রতিকৃতি মকবুল সাবরির ভাইপো। ২০১১ সালে মকবুল সাবরি মারা যান। আমজাদ তাদের পরিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখেন। তিনি পাকিস্তানের কাওয়ালি শিল্পীদের অন্যতম ছিলেন।