ঈদের আগে বাস-ট্যাক্সি ধর্মঘট নয়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঈদের আগে ধর্মঘট না করার সিদ্ধান্ত নিল বাস সংগঠন। প্রায় একই চিন্তাভাবনা ট্যাক্সি সংগঠনের কর্তাদের। ডিজেলের দাম বাড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যার কথা দীর্ঘদিন বলে আসছেন বাস মালিকরা। এই প্রেক্ষিতে নতুন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি দিয়েছেন বাস ও ট্যাক্সি মালিকরা। ট্যাক্সি সংগঠনের সঙ্গে একবার বৈঠকও করেছেন মন্ত্রী। সেখানে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ভাড়া বাড়ানো ছাড়া অন্য কোনও কিছুতে সন্তুষ্ট হতে চাইছেন না কোনও সংগঠনের কর্তাই। আজকাল
বৃহস্পতিবার সকালে জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের নেতা তপন ব্যানার্জি জানিয়েছেন, ঈদের আগে আন্দোলন করব না। মন্ত্রীকে চিঠি আগেও দিয়েছি, আবার দেব। ঈদ হয়ে যাওয়ার পরও যদি সরকার আমাদের কথা না শোনে, তাহলে ধর্মঘট করতেই হবে। নতুন সরকার তৈরি হয়েছে। আমরা চাই না শুরুতেই সম্পর্ক খারাপ হোক। কিন্তু সরকারকে আমাদের সমস্যা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতেই হবে। সেটা না করলে আমাদের আন্দোলন করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। এর আগে পরিবহণমন্ত্রীকে নতুন দায়িত্ব পাওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছিলেন বাস ও ট্যাক্সি সংগঠনের কর্তারা। পরিবহণ সংগঠনের কর্তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া না বাড়ায় বাস ও ট্যাক্সির ব্যবসা অলাভজনক হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন বাস ও ট্যাক্সির মালিকদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না। আর তাই বাস ও ট্যাক্সির সংখ্যা প্রতিদিন ক্রমশ কমছে। এখন কলকাতার রাস্তায় যে সমস্ত বেসরকারি বাস চলে, তার প্রায় পুরোটাই নতুন। এই নতুন বাস কেনার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছেন বাস মালিকরা। প্রতি মাসে ইএমআই দিতে গিয়ে কার্যত নাভিশ্বাস উঠেছে বাস মালিকদের। এই পরিস্থিতিতেই আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগের সরকারের শেষ কয়েক মাস এই নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। এরই মধ্যে ট্যাক্সি ধর্মঘটের ডাকও দিয়ে দেওয়া হয়। যদিও তা শেষ পর্যন্ত হয়নি। তখনই পরিবহণ সংগঠনের কর্তারা জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের পর আবার আন্দোলন শুরু হবে।
বছর দুয়েক আগে শেষ বার বাসের ভাড়া বেড়েছিল। তারপর থেকে আর ভাড়া বাড়েনি। বাস মালিকরা মাঝে– মধ্যেই একটা উদাহরণ দেন। তারা বলেন, অটো যেভাবে নিজের ইচ্ছায় ভাড়া বাড়াতে পারে, সেটা আমরা পারি না। তাই তাদের ভাড়া বাড়ানো দরকার কিনা বা বাড়াতে কতটা বাড়াতে হবে, তা ঠিক করার জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হোক। এই দাবিসহ বাসের সমস্যা দূর করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আগের সরকারের আমলেই একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই কমিটি কয়েকটি বৈঠকও করে। বাস মালিকদের দাবি, আবার ওই কমিটিকে সক্রিয় করা হোক। সরকার তাদের সমস্ত দাবি গুরুত্ব দিয়ে শুনুক। তাহলেই বোঝা যাবে ভাড়া বাড়ানোর দাবিটা অযৌক্তিক নয়। ব্যবসায় যে ক্ষতি হচ্ছে, তার প্রভাব জনমানসে পড়ছে বলেও দাবি মালিকদের।