দুই মাসে চট্টগ্রামেই জামিনে মুক্ত হয়েছে চিহ্নিত ২০ জঙ্গি
সাজ্জাদুল হক : গত দু’মাসে শুধুমাত্র চট্টগ্রামেই জামিনে মুক্তি পেয়েছে অন্তত ২০ জন চিহ্নিত জঙ্গি সদস্য। এর মধ্যে প্রধান সমন্বয়কারী ওমর শরীফসহ হিযবুত তাহরীর সদস্য রয়েছে ১২ জন। অথচ বর্তমানে টার্গেট কিলিংয়ের জন্য আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের পাশাপাশি জেএমবি এবং হিযবুত তাহরীরকেও অভিযুক্ত করা হচ্ছে। আর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় এসব জামিনের জন্য পুলিশের গাফিলতি এবং আইনের ফাঁক-ফোঁকরকেই দায়ী করছেন আইনজীবীরা। সময় টিভি
দেশজুড়ে এখন এক আতঙ্কের নাম টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যা । নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার জন্য একের পর এক টার্গেট কিলিং চালিয়ে যাচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলো। আনসার উল্লাহ বাংলা টিম এবং জেএমবির পাশাপাশি এখন হিযবুত তাহরীরকেও অভিযুক্ত করা হচ্ছে টার্গেট কিলিংয়ের জন্য।
আর তাদের প্রতিরোধে সারাদেশে চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান। অথচ একে একে জামিন পেয়ে যাচ্ছে জঙ্গিরা। আর জঙ্গিদের জমিনের জন্য পুলিশের গাফিলতির পাশাপাশি আইনের ফাঁক-ফোঁকরকেই দায়ী করছেন সরকার নিয়োজিত কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন।
সবশেষ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা ৫৯ জন জঙ্গি সদস্যের তালিকা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, এর মধ্যে ২০ জন জামিনে মুক্তি পেয়ে গেছেন। এর মধ্যে প্রধান সমন্বয়কারী ওমর শরীফসহ হিযবুত তাহারীর সদস্য রয়েছেন ১২ জন। এছাড়া হরকাতুল জেহাদ-হুজির তিনজন, শহিদ হামজা ব্রিগেডের তিনজন এবং জেএমবির দুজন সদস্য রয়েছে।
জঙ্গিদের জামিন পাওয়ার ব্যাপারে সরকার নিয়োজিত কৌঁসুলি পুলিশের গাফিলতিকে দায়ী করলেও আইন কর্মকর্তারাও এর দায় এড়াতে পারে না বলে মনে করেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম জাহেদ বীরু।
জঙ্গি তৎপরতা বন্ধে ২০০৯ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিলে সন্ত্রাসবিরোধী আইন। ২০১৩ সালে সংশোধিত এ আইনের ধারাগুলো জামিন অযোগ্য বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা । আর জামিন পাওয়া এসব জঙ্গির মামলায় এই আইনের ধারা সংযোজন করা হয়েছিল। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ