আগামী সাতদিনে নষ্ট হচ্ছে কুর্মিটোলা হাসপাতালের ২৩৭ পিস ইনসুলিন
রিকু আমির : ৫০০ শয্যার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অব্যবহৃত ২৩৭ পিস ইনসুলিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে। এসব ব্যবহারের বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরকারি পাঁচ হাসপাতালের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সাড়া পায়নি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এ হাসপাতালে ৫০০ পিস ইনসুলিন কেনা হয়। এসব হচ্ছে- ম্যাকসুলিন ৩০/৭০ (আরডিএনএ) ১০০ আইইউ (এমএল)। এসবের মেয়াদোত্তীর্ণ হবার দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসায় হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শহিদুল গণি গত ৩০ মে অনুরোধ জানিয়ে পাঁচটি সরকারি হাসপাতালের পরিচালককে চিঠি পাঠান।
হাসপাতালগুলো হলো- ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, টাঙ্গাইল, স্যার সলিমুল্লাহ মিটফোর্ড, শহীদ তাজউদ্দিন এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। চিঠিতে বলা হয়, কুর্মিটোলা হাসপাতালের রোগীর সেবার প্রয়োজনে সংগৃহীত ওষুধসমূহের মধ্যে ম্যাকসুলিন ৩০/৭০ (আরডিএনএ) ১০০ আইইউ (এমএল) ২৩৭ পিস ইনসুলিনের মেয়াদ জুলাই মাসে উত্তীর্ণ হবে। ইনসুলিনগুলো ব্যবহারের সুযোগ এ হাসপাতালে সীমিত হওয়ায় সম্ভাব্য প্রয়োজন ও চাহিদাপত্রসহ প্রতিনিধি পাঠিয়ে সংগ্রহ করার অনুরোধ জানানো হলো। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটেও এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট মো. মিজানুর রহমান জানান, আজ পর্যন্ত এসব নিতে কেউ যোগাযোগ করেনি।
চিঠির বিষয় শুনে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এসটিএম আবু আজম বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদকের কাছে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে ইনসুলিনের কোনো কাজই নেই। আমাদের কেন এ চিঠি দেয়া হবে। চিঠি তিনি পাননি বলে উল্লেখ করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মেডিসিন স্টোর ইনচার্জ ডা. মসিউর রহমান বলেন, এতো স্বল্পমেয়াদের ওষুধ আমাদের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। এতে অডিট আপত্তির ঝুঁকি রয়েছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম