যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সাতজনে একজন দরিদ্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার সাতজনের মধ্যে একজন দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে। সাধারণভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ভালো হলেও দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বেশকিছু ক্ষেত্রে দেশটিকে জরুরি উদ্যোগ নিতে হবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পরিচালক ক্রিস্টিন লাগার্দে গত বুধবার এসব কথা বলেছেন। ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস
অর্থনীতির সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আইএমএফের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উপর একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রে গত এক বছরে ২৪ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। মন্দা সামাল দিয়ে মার্কিন অর্থনীতি তার অবস্থানকে পুনরায় প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন কর্মহীনের সংখ্যা ৪ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক মহলে চাহিদা সীমিত থাকলেও মার্কিন ডলার তার শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
চলতি বছর মার্কিন প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশিত ২ দশমিক ৪ অর্জিত হয়নি। ২০১৬ সালে ২ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও ২০১৭ সালে মার্কিন প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
দারিদ্র্য দূরীকরণ, ধনী-গরিবের মধ্যে সম্পদের ব্যবধান কমানোর জন্য আইএমএফ সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে শিক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি, সামাজিক কর্মসূচিতে অর্থ বরাদ্দ, ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।
আইএমএফ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্র্য মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দারিদ্র্যে বাস করা ১৫ শতাংশ জনগোষ্ঠীর মধ্যে তিনটি পরিবারের একটিতে নারীই পরিবার প্রধান। দরিদ্র সীমায় থাকা জনগোষ্ঠীর ৪০ শতাংশ নিয়মিত কাজ করেও দারিদ্র্যের সীমারেখা অতিক্রম করতে পারছে না। আইএমএফ তাদের সুপারিশে বলেছে, এসব জনগোষ্ঠীর জন্য কর সুবিধা প্রদান করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার অবকাশ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য অভিবাসীদের গুরুত্বের কথা আইএমএফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। শ্রমবাজারে মানবসম্পদের গুরুত্বপূর্ণ প্রবাহ অব্যাহত রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইনের সংস্কার করার কথাও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক ক্রিস্টিন লাগার্দে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে শিক্ষাখাতে আরও ব্যয় বাড়াতে হবে। সামাজিক কর্মসূচি বৃদ্ধিসহ দারিদ্র্য মোকাবিলার জন্য মজুরি বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন, নারীদের উৎপাদনশীলতায় আরও সম্পৃক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রকে জরুরি ভিত্তিতে মনোযোগী হতে হবে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ