নিজস্ব প্রতিবেদক : কোচ, ম্যানেজারকে অন্তর্ভুক্ত করে গত রোববার দ্বিস্তরের নির্বাচক পদ্ধতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ।
দ্বিস্তরের এই নির্বাচক প্রক্রিয়া ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন। কয়েকটি টেস্ট প্লেয়িং দেশে কোচের অবশ্য নির্বাচক কমিটিতে থাকার দৃষ্টান্ত আছে। কিন্তু টিম ম্যানেজারের নির্বাচক কমিটিতে থাকাটা নজিরবিহীন। বিসিবি এই নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিল। ক্রিকেট বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তে চারদিকে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
এর যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন তার সারমর্ম হলো- কোচের সঙ্গে অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করবেন জাতীয় দলের ম্যানেজার। মানে দল নির্বাচনে অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের পছন্দ ও মতামতের কথা কোচকে জানিয়ে দেওয়া।
২০১৩ সাল থেকে ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের নির্বাচক কমিটি বেশ ভালোভাবেই কাজ করে আসছিলেন। কিন্তু ভিতরের খবর হলো- দল গঠন নিয়ে নানা সময়ে নানা সমস্যা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের পর দল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন কোচ হাথুরুসিংহে। বলেছিলেন, তিনি সেরা দলটি পাননি, পেলে আরও ভালো করা যেত।
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে সবসময়ই কথা বলেছেন হাথুরুসিংহে। সেই দাবি মেনেই কোচকে নির্বাচক কমিটিতে জায়গা দেওয়া। কিন্তু কোচের পছন্দ নিয়েও নানা সময়ে কথা উঠেছে। নির্বাচক কমিটিতে না থেকেও দল নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়েছেন হাথুরুসিংহে। দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ, এশিয়া কাপ এবং সর্বশেষ টি-২০ বিশ্বকাপে কোচের অপছন্দের কারণেই পরীক্ষিত অল রাউন্ডার নাসির হোসেন উপেক্ষিত থেকেছেন। অথচ টানা ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও এবং অধিনায়ক মাশরাফির পছন্দ উপেক্ষা করে গড়পড়তা মেধার মোহাম্মদ মিথুনকে একাদশে রাখা হয়েছে। ব্যাপারটা নিয়ে কোচের উপর বিরক্ত ছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি।
কিন্তু কোচকে সাধারণত ভয় পান অধিনায়ক, সহ-অধিনায়করা। যে কারণে তাদের পছন্দ নিয়ে শক্ত অবস্থান দূরের কথা; মতামতটুকুও দিতে চান না তারা। নতুন নির্বাচক প্রক্রিয়ায় অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের পছন্দ-অপছন্দ এবং মতামত কোচের কাছে পৌঁছে দিবেন ম্যানেজার। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি