অনির্বাণ বড়–য়া : ‘মহেঞ্জোদারো’ সিনেমার ট্রেলার বের হতেই পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকরের ইতিহাস জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকরা। অনেকেরই দাবি, সিনেমাটির সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। শুধু তাই নয়, যে শহরের ইতিহাস নিয়ে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে সে শহরের নাম সম্পর্কেও পরিচালকের কোনো ধারণা নেই।
ইতিহাস সচেতন আশুতোষ গোয়ারিকরকে নিয়ে এমন অভিযোগ তোলা অবশ্যই সাহসের বিষয়। তবে এক্ষেত্রে সমালোচকরা আশুতোষকে একেবারে ঢাল-বর্ম ছাড়াই যেন পেয়ে বসেছে। কারণ ‘মহেঞ্জোদারো’ যে সময়ের গল্প নিয়ে তৈরি সেসময় শহরটি মহেঞ্জোদারো নামে পরিচিত ছিল না। ১৯২০ সালে প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর পুরনো এই শহরটি মাটির নিচ থেকে খুঁড়ে বের করার সময় প্রতœতাত্ত্বিকরা নাম দিয়েছিল মহেঞ্জোদারো; যার অর্থ ‘লাশের ঢিবি’।
সিনেমার ট্রেলারে হৃত্বিককে মহেঞ্জোদারো শহর বলতে শোনা গেছে। এটি শোনেই অনেকেই বলছেন, একটি শহরের নাম ‘লাশের ঢিবি’! আসল নাম জানতে গবেষণা না করে প্রতœতাত্ত্বিক নাম নিয়ে কিভাবে সিনেমা বানালেন আশুতোষ? এমন প্রশ্ন তার ভক্তদেরও।
সিন্ধু সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটির বাস্তব নাম এখনও অজানা, তবে শহরটির স্থাপত্যে মুরগির বহুল ব্যবহার পাওয়া যায়। তাই অনেক গবেষকের ধারণা এই শহরের নাম ছিল ‘কুক্কুটারমা’ যার অর্থ বাচ্চা মুরগি।
সূচি নামে একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোঁচা দিয়ে লিখেন, ‘সিনেমার দলের অন্তত একজন তো নিশ্চয়ই জানতেন সিন্ধু সভ্যতার সময় এই শহরের নাম মহেঞ্জোদারো ছিল না, তাই না?’
সিনেমাটি বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা। এতে হৃতিক ও পূজা হেগদে অভিনয় করেছেন। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি