বেঁড়িবাধ ভেঙে আশাশুনির তিনটি গ্রাম প্লাবিত
শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কোলায় প্রবল জোয়ারের চাপে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় এক হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। এতে দেড় হাজার বিঘা মৎস্যঘের ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। শুক্রবার দুপুরের উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা গ্রামের ৪ নং পোল্ডারের কাছে খোলপেটুয়া নদের প্রায় দুই’শ ফুট বেড়িবাধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা, হিজলিয়া ও শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালী গ্রাম প্লাবিত হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াজেদ গাজী, সঞ্জয় দাশ, জহুরুল ইসলাম ও ছাইফুল্লাহসহ একাধিক লোক জানান, বাধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। হঠাৎ দুপুরের জোয়ারে বাধ নদী গর্ভে ধসে পড়ে। এতে তিনটি গ্রামের প্রায় এক হাজর মানুষ পানি বন্দী ও দেড় হাজার বিঘা মৎস্য ঘের এবং ফসলি জমি প্লাবিত হয়। প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, আড়াইমাস আগে একই স্থানের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার পর বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য টেনডার দেয়া হয় । কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার দীর্ঘ আড়াইমাস পেরিয়ে গেলেও কাজ শুরু না করায় ঝুঁকিপূর্ণ এই বেড়িবাধটি আবারও ভেঙ্গে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে প্রায় এক হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে এবং দেড় হাজার বিঘা মৎস্যঘের ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
তিনি আরো জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও আবুল হোসেন ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তিনি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করবেন বলে জানান। শ্রীউলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি কারনে এখানে বার বার বেড়িবাঁধ বেঙ্গে বিস্তির্ণ এলঅকা প্লাবিত হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাননি বলে স্থানীয়রা জানান।