আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আগামী সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাজ্যকে বাদ দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি ২৭ সদস্য আগামী সপ্তাহে একটি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের আলাদা হয়ে যাওয়ার পক্ষে গণভোটের রায় আসার পর অর্থনৈতিক জোটটির ভবিষ্যত কী হবে তা নির্ধারণ করতে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক খবরটি নিশ্চিত করেছেন। গার্ডিয়ান
যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে নাকি জোটটি থেকে আলাদা হয়ে যাবে সে প্রশ্নে বৃটিশরা বৃহস্পতিবার গণভোটে অংশ নেন। শুক্রবার পাওয়া ফলাফলে দেখা যায়, ব্রিটিশ জনগণের রায় ইইউ ছাড়ার পক্ষেই গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে শুক্রবার টাস্ক জানান, তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে গত কয়েকদিন ধরে কথা বলেছেন। তারা তাকে ইইউর ঐক্য ধরে রাখার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। ইইউ নেতারা গণভোটের যেকোনো ফলাফলের জন্য প্রস্তুত ছিল বলেও জানান টাস্ক।
ব্রাসেলসে তিনি বলেন, গণভোটে আমরা যে ভিন্ন ফলাফল আশা করেছিলাম সে সত্য কথাটি লুকানোর কিছু নেই। এ ঘটনায় যেসব রাজনৈতিক প্রভাব পড়তে পারে তার সবগুলোর ব্যাপারে পূর্বাভাস দেওয়ার সুযোগ নেই।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে বাদ দিয়ে আগামী সপ্তাহের বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন টাস্ক। তাছাড়া ওই আলোচনায় ইইউ জোটের ভবিষ্যত কী হবে সে ইস্যুটি আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।
যুক্তরাজ্য ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয় বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ। ইইউ যখন বিপুলসংখ্যক অভিবাসীকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে তখনই যুক্তরাজ্যে এ গণভোট হলো।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক অবসানের পক্ষে ব্রিটিশ জনগণের রায়ের প্রভাব পড়েছে ইইউ-জোটভুক্ত অন্যান্য দেশেও। ‘লিভ’ পক্ষে রায় আসায় নড়েচড়ে উঠেছে জোটের অন্য সদস্য দেশগুলো। তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। এরইমধ্যে উগ্র জাতীয়তাবাদীরা নিজ নিজ দেশে একই রকমের গণভোট আয়োজনের দাবি তুলেছেন। কেউ কেউ একে স্বাধীনতা বললেও কেউ কেউ আবার বলছেন, এটি ব্রিটিশ জনগণের ভুল সিদ্ধান্ত। অনেকে আবার মনে করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যেন বাকি সদস্য দেশগুলো বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। সব মিলে ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়নে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষণা প্রতিবেদনেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদের মধ্যকার অস্থিরতার আভাস দেওয়া হয় গণভোটের আগেই। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ