কিরণ সেখ : জাতীয় সংসদে এমপি আমানুর রহমান খানের মতো খুনিরা ঢুকে পড়লে সংসদের নিরাপত্তা কোথায়Ñ সরকারের কাছে এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী সকল তথ্যই তার জানা আছে। এত কিছুর পরেও কীভাবে পলাতক আসামি গত ২০ জুন পুলিশের সামনে দিয়ে সংসদে ঢুকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বীরদর্পে বেরিয়ে যায়? এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কি কোনো জবাব আছে? গতকাল শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের কাছে এ প্রশ্ন রাখেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি। টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. আমিনুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে এবং গত ১৭ মে আদালত তার মালামাল বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়ে এই বিষয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে চিঠি দিয়ে অবহিত করেছেন।
রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, বিএনপির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের গ্রেফতার করে জেলে ঢুকাচ্ছে। আর অপর দিকে সরকারি দলের নেতা হওয়ার সুবাদে পলাতক আসামি হয়েও সর্বত্র বিচরণ করছে। বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই এটা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, গতকাল নোয়াখালী সেনবাগে বিএনপি নেতা সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুকের উপস্থিতিতে ইফতার মাহফিলে ছাত্রলীগ হামলা করে অনুষ্ঠান প- করে দিয়েছে। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশের প্রশ্রয়ে বিরোধী দলের সভা ও ইফতার পার্টির ন্যায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান প- করে দিচ্ছে। মানুষের কাছ থেকে সহায় সম্পত্তি কেঁড়ে নিচ্ছে। দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করার পর সরকারি দলের আধিপত্য ক্ষুধা আরও বেশি উগ্র রূপ ধারণ করেছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম