উম্মুল ওয়ারা সুইটি : জঙ্গিবাদ কোনো দেশের একার সমস্যা নয়, এটি এখন আন্তর্জাতিক সমস্যা। তাই জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত দুই দিনের যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ পঞ্চম অংশীদারিত্ব সংলাপ অনুষ্ঠানে এ আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন সংলাপে অংশ নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের প্রধান দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্টের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি থমাস এ শ্যানন। তবে যৌথ এ উদ্যোগ কীভাবে শুরু হতে পারে সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেননি তিনি। গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই সংলাপ গতকাল শুক্রবার শেষ হয়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ সংলাপে অংশ নেন পররাষ্ট্র সচিব এম. শহীদুল হকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
সংলাপে অনুষ্ঠানে থমাস এ শ্যানন জানান, বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখতে যুক্তরাষ্ট্র আরও ঘনিষ্ঠভাবে অবদান রাখতে চায়। বিশেষ করে উগ্রবাদীদের হামলা ঠেকানোর জন্য তারা আগাম তথ্য বিনিময়ের সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ চায়।
তিনি জানান, জঙ্গিবাদ একার সমস্যা নয়; বরং এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা উল্লেখ করে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে জঙ্গি দমনে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে কীভাবে এ যৌথ উদ্যোগ শুরু হতে পারে সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেননি তিনি।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে তাদের নাগরিক, কূটনীতিক ও মিশনের সর্বস্তরের স্টাফদের নি”িছদ্র নিরাপত্তা চাইতে নিরাপত্তা বিধানের জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
সংলাপে বাংলাদেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তা ইস্যু, গুপ্তহত্যা ও জঙ্গি দমনে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি এবং এর আলোকে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের কথা সংলাপে তুলে ধরেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব।
সংলাপ অনুষ্ঠানে সচিব বাংলাদেশ গত ১০-১৬ জুন পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব পরিচালিত জঙ্গিবিরোধী যৌথ অভিযান এবং ওই অভিযানে ১৯৪ জঙ্গির আটক, এসই সময়ে অস্ত্র উদ্ধারসহ জঙ্গি দমনে নেওয়া সব পদক্ষেপের চিত্র তুলে ধরেন।
সংলাপে জঙ্গিবাদ ছাড়াও দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, সংলাপে অংশ নিতে গত বুধবার পররাষ্ট্র সচিব এম. শহীদুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল ওয়াশিংটন পৌঁছান। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম