রণজিৎ দা’র চেয়ে সরস গদ্য লেখক দেশে কজন আছেন?
প্রভাষ আমিন
রণজিৎ দার সঙ্গে আমার পরিচয় কবে, কিভাবে মনে নেই। অন্তত বছর বিশেক আগে হবে। আমি ক্রীড়ানুরাগী, আর রণজিৎ দা দেশের সেরা ক্রীড়া লেখক; তাই বয়সের বিশাল ব্যবধান সত্বেও সম্পর্কটা গভীর হতে সময় লাগেনি। রণজিৎ বিশ্বাস সরকারি চাকরি করতেন, এটা কখনোই আমার মাথায় থাকত না। আমি তার বৈচিত্র্যময় লেখার অনুরাগী পাঠক। কিন্তু দাদা তার পেশার চূড়াটাও ছুঁয়েছেন। অবসরে গেছেন সচিব হিসেবেই। সন্ধ্যায় তার আকস্মিক মৃত্যুর খবর পেয়ে চমকে গেলাম। আজ সকালেও আমাদের অর্থনীতিতে তার লেখা পড়েছি। স্ক্রলে তার পরিচয় দিতে বললাম, সাবেক সচিব ও ক্রীড়া লেখক। পরে নিজের মূর্খতায় নিজেই লজ্জা পেলাম। আমার তো না হয় দাদার ক্রীড়াবিষয়ক লেখা বেশি পছন্দ। তাই বলে দাদা তো নিছক ক্রীড়া লেখক নন, কথা সাহিত্যিক। তার চেয়ে সরস গদ্য লেখক দেশে কজন আছেন? অবসরে দাদার যখন দুই হাতে লিখে সমৃদ্ধ করার কথা আমাদের সাহিত্যকে তখনই তিনি চলে গেলেন।
আজ দুপুরেই মানুষের গড় বয়স ৭১-এ উন্নীত হওয়া নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। যাতে আমাদের মতো অপ্রয়োজনীয় আয়ু কমিয়ে দেশ ও জাতির জন্য প্রয়োজনীয় আয়ু বাড়িয়ে দেওয়ার আকাক্সক্ষার কথা বলেছিলাম। দাদা তেমনই একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ, যার আরও অনেকদিন বেঁচে থাকা দরকার ছিল। কিন্তু দাদা গড় আয়ুর চেয়ে ৯ বছর আগেই চলে গেলেন। কার জন্য রেখে গেলেন এই ৯ বছর? কী এমন তাড়াহুড়ো ছিল দাদা?
লেখক : অ্যাসোসিয়েট হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ
সম্পাদনা : জব্বার হোসেন