নূর সিদ্দিকী, নীলফামারী : নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার এক নিভৃত পল্লীতে এক নববধূকে ৫শ টাকায় অন্য লোকের কাছে বন্ধক রেখেছেন স্বামী। ঐ নববধূর স্বামীর নাম লিটন আলী ওরফে ফকির (২৮)।
জানা যায়, জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া বাজারের সংলগ্ন তেলীপাড়ার বাবর আলীর পুত্র ভ্যানচালক লিটন আলী ওরফে ফকির।
ঐ গৃহবধূর বাড়ি নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের শুকান পুকুর এলাকায়। দুমাস আগে তাদের বিয়ে হয়। প্রতিবেশীদের অজান্তে গত ২২ জুন বুধবার স্ত্রীকে ৫শ টাকার বিনিময়ে তার পিত্রালয়ের পাশের গ্রাম নাটুয়াপাড়ার কাঠুরিয়া ওলেমান মিয়ার (৩২) কাছে বন্ধক রাখে লিটন। তিন দিন পর ২৪ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় লিটন বন্ধক গ্রহীতা ওলেমানের কাছ থেকে স্ত্রী শিল্পীকে ফেরত আনতে গিয়ে ঘটে যায় বিপত্তি। গৃহবধূ তার স্বামী লিটনের ঘরে ফেরত না এসে বন্ধক গ্রহীতাকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করার দৃঢ় সংকল্প করায় ত্রিমুখী দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। আর তখনই ঘটনাটি এলাকায় চাউর হয়ে পড়ে।
৫শ টাকার বিনিময়ে ওলেমানের হাতে তার স্ত্রীকে তুলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
এলাকার একটি সূত্র জানায়, লিটন খারাপ প্রকৃতি যুবক। সে ইতোমধ্যে বিয়ের নামে এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। সে চট্টগ্রামে ভ্যান চালাতো। সেখানে তার আগের স্ত্রী ও সন্তানসহ বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। ইউপি নির্বাচনের সময় স্ত্রী সন্তান রেখে বাড়িতে আসে। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে স্ত্রী সন্তান গ্রামের বাড়িতে আসার কথা রয়েছে। আর তাই কৌশলে বিপতœীক কাঠুরিয়া ওলেমানের হাতে তুলে দেয় নববধূকে।
কাশীরাম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন জানান, লিটন এলাকায় প্রচার করেছিল সে ঐ নারীকে বিয়ে করে বসবাস করছে। কিন্তু এখন সে বলছে বিয়ে করিনি।
এ বিষয়ে নারী নেত্রী কামরুন নাহার ইরা জানান, স্ত্রীকে বন্ধক কিংবা টাকার বিনিময়ে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার এখতিয়ার স্বামী বা অন্য কারোর নেই। এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম জানান, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে এখনও অবগত নন। তবে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।