এল আর বাদল : ১৯৯৩ সালের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে কোনো শিরোপা জিততে পারেনি আর্জেন্টিনা। এবার গত ২৩ বছরের ব্যর্থতা মোচন করতে চায় লিওনেল মেসিরা। এ বছরও কোপা আমেরিকা-ফাইনালে আগের বছরের সেই দুই প্রতিপক্ষ। গতবারের রানার্সআপ আর্জেন্টিনা শিবিরে তাই সেই পুরনো লক্ষ্য- চিলিকে হারিয়ে শিরোপা খরা ঘোচানো।
যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট রাদারফোর্ডে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল সোমবার ভোর ৬টায় শুরু হবে কোপা আমেরিকার শতবর্ষী আসরের ফাইনাল। মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফেভারিট হিসেবেই ফাইনাল ম্যাচটি খেলতে নামবে ১৯৯৩ সালের কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দলের প্রাণভোমড়া অধিনায়ক মেসি আছেন দারুণ ছন্দে। চিলির বিপক্ষে না খেলা বার্সেলোনার এই তারকা পরের দুই ম্যাচে মাঠে নামেন বদলি হিসেবে। তবে ৫ গোল করে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। ৬ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা চিলির এদুয়ার্দো ভারগাস। দীর্ঘ ২৩ বছরের আক্ষেপ ঘোচানোর ঘোষণা দিয়ে মেসি বলেন, আমি জানি না যে এটাই আমার শেষ সুযোগ কি না। এই ট্রফিটা জেতার যথেষ্ট সামর্থ্য রয়েছে আমাদের। শিরোপা জিততে আমরা মনপ্রাণ উজাড় করে দেবো।
আর্জেন্টিনার হয়ে এ নিয়ে চারটা ফাইনালে খেলেছেন মেসি। তার মধ্যে ২০১৪ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে গেছে আর্জেন্টিনা। পরের বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে পরাস্ত হয়ে শিরোপা হাতছাড়া করেছেন তারা। এবার আর সেটা চান না মেসি। তিনি বলেন, জাতীয় দলের হয়ে এটি আমার চতুর্থ ফাইনাল ম্যাচ। যার পরনাই চেষ্টা করবো ২৩ বছরের সকল ব্যর্থতা ঘোচাতে। তবে প্রতিপক্ষ চিলিকে সমীহ করতে ভোলেননি মেসি। তিনি বলেছেন, কোপায় এবারও চিলি অনেক শক্তিশালী। ওদের বিরুদ্ধে ধুন্দুমার ফাইনাল ম্যাচ হবে। এই আকর্ষণীয় ফাইনালে জেতার জন্য আমরা সবাই মুখিয়ে আছি।
ফাইনালে জেতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করার পাশাপাশি চিলিকে নিয়ে সতীর্থদের অবশ্য সাবধান করে দেন মেসি। তিনি চিলিকে চিনি, এটা খুব নিখুঁত একটি দল এবং এ কারণেই আবার ফাইনালে উঠেছে তারা।
ফাইনালের আগে আর্জেন্টিনা দলে চোট নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। মাঝমাঠে দলের অন্যতম বড় ভরসা আনহেল দি মারিয়ার ফাইনাল ম্যাচে খেলা নিয়ে শঙ্কা আছে। অ্যাডাক্টর মাংসপেশির চোটে পড়া দি মারিয়া গত বৃহস্পতিবার অনুশীলনে ফিরলেও পুরো সেশন শেষ করতে পারেননি। পরীক্ষা করার পর তার চোটের অবস্থার অবনতি ধরা পড়ে। চোটের থাবা পড়েছে চিলি দলেও। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতা সেমি-ফাইনালে হাঁটুর চোটে পড়েন মিডফিল্ডার পাবলো এর্নান্দেস। এই টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার মার্সেলো দিয়াসের খেলা নিয়েও শঙ্কা আছে। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে অবশ্য একতরফাভাবে এগিয়ে ফিফা র্যাংকিংয়ের এক নম্বরে থাকা আর্জেন্টিনা। এ পর্যন্ত খেলা ৮৭ ম্যাচের ৫৮টিতেই জয় পেয়েছে তারা। বিপরীতে চিলি জিতেছে কেবল ৬ ম্যাচে। বাকি ২৩টি ম্যাচ হয়েছে ড্র।