রফিক আহমেদ : আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যামামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি নুরুল ইসলাম দিপুকে জাতীয় পার্টির (জাপা) যুগ্ম মহাসচিব করা হয়েছে। গত ২২ জুন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায় স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলের যে ১৬ জন যুগ্ম মহাসচিবের নাম প্রকাশ করেছে সেখানে দিপুর নামটি ১২ নম্বরে। একই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় পার্টির ৫ জন উপদেষ্টা, ২১ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৬ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় পার্টির অষ্টম জাতীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টির অষ্টম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করছেন।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের নোয়াগাঁও এমএ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় তৎকালীন স্থানীয় সাংসদ আহসান উল্লাহ মাস্টারকে। এ ঘটনায় তৎকালীন জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম দিপুকে প্রধান আসামি করে হত্যামামলা দায়ের করা হয়। চাঞ্চল্যকর এ হত্যামামলার রায় ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল ঘোষণা করেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ছাত্রসমাজের সাবেক নেতা নুরুল ইসলাম দিপুসহ ২২ জনকে মৃত্যুদ- এবং ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেন আদালত। সর্বশেষ গত ১৫ জুন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নুরুল ইসলাম দিপুসহ ৬ জনের মৃত্যুদ-াদেশ বহাল রাখেন।
নুরুল ইসলাম দিপু দীর্ঘদিন ধরে পলাতক। তিনি এখন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বসবাস করছেন বলে জানা গেছে।
দিপুর ব্যাপারে কথা বলতে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলব।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেন, দলে কাকে কোন পদে নিয়োগ দিয়েছে আমি কিছুই জানি না। তবে এ ব্যাপারে দলের মহাসচিব ভালো বলতে পারবেন। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি