ইমরুল শাহেদ : ২৬ জুন নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সমর্থন দিবস পালন করা হয়। দিবসটিকে নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবস বলা হয়। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন জাতিসমূহের মধ্যে পারস্পরিক নির্যাতন মানব ইতিহাসের কলঙ্কতম অধ্যায়। জাতিসংঘ তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মানুষের উপর মানুষের যে কোনো নির্যাতন বন্ধের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সর্বপ্রকার নির্যাতন, নিষ্ঠুরতা, অমানবিক আচরণ, মানবিক মূল্যবোধ বিবর্জিত ও মর্যাদা হানিকর ব্যবহার কিংবা শাস্তির বিরুদ্ধে জাতিসমূহকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে উৎসাহিত করার নিমিত্ত একটি কনভেনশন গ্রহণ করে। কনভেনশনটি ১৯৮৭ সালের ২৬ জুন হতে কার্যকর হয়। ১৯৯৭ সালে ডেনমার্কের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের ২৫১ নম্বর সিদ্ধান্তের সুপারিশক্রমে ১৯৯৭ সালের ১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৫২/১৪৯ নম্বর সিদ্ধান্তের আলোকে প্রতিবছর ২৬ জুন নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
তিনটি কারণে দিবসটি পালনের জন্য ২৬ জুনকে নির্ধারণ করা হয়। প্রথমত, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও শক্তিশালী করার নিমিত্ত ১৯৪৫ সালের ২৬ জুন জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, ১৯৭৬ সালের ২৬ জুন বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ গুলি চালিয়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ অসংখ্য আন্দোলনকারীকে হত্যা করেছিল। তৃতীয়, ১৯৮৭ সালের ২৬ জুন থেকে নির্যাতন বিরোধী জাতিসংঘ কনভেনশন গৃহীত হয়।
১৯৯৮ সালে দিবসটি প্রথম পালিত হয়। ২০০৯ সালের ১৬ জুলাই বসনিয়া ও হারজেগোভেনিয়া ২৬ জুন তথা নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবসটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম