১৪ ঘণ্টা কোথায় ছিলেন?
দীপক চৌধুরী : রাজধানীর মিন্টোরোডের ডিবি কার্যালয় হতে শ্বশুরের বনশ্রীর বাসায় ফিরেছেন চট্টগ্রামের আলোচিত পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। তিনি বাসায় ফেরার পরপরই বাসার নিরাপত্তা ব্যাপক জোরদার করেছে পুলিশ। পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, বাবুল আক্তারকে ডিবি অফিস, পুলিশ হেডকোয়ার্টারস, ঢাকা মহানগর পুলিশ সদর দফতরসহ ৬টি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। একাধিক ভিডিও চিত্র দেখানো হয়েছে। তাকে আটকের পর ১৪ ঘণ্টা তিনি কোথায় ছিলেন বা কী কী প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে এ ব্যাপারে বাবুল আক্তার বা পুলিশের কেউ মুখ খুলছেন না। গত ১৫ দিনে তাকে স্ত্রী হত্যাকা- ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন সময় সাতবার গোয়েন্দা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
খিলগাঁও থানার এসআই শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য বাবুল আক্তারের বাসার সার্বিক নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আছেন। গোয়েন্দা পুলিশ দল বা সাদা পোশাকেও একদল পুলিশ টহল দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন জানান, ‘আইজিপি স্যার ডেকেছেন’ বলে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তার বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে নিয়ে যায় পুলিশ। তখন খিলগাঁও থানার ওসি মাইনুল হোসেন ও ডিএমপির মতিঝিল জোনের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন ওই বাসায় গিয়ে ‘আইজিপি স্যার ডেকেছেন, কথা বলবেন’ বলে বাবুল আক্তারকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে বাবুল আক্তারের ফোন বন্ধ থাকে তার সঙ্গে কারো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। ঘটনাটি উদ্বেগজনক।
গতকাল সন্ধ্যায় বাবুল আক্তারের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ৪টার কিছু পরপরই বাবুল বাসায় ফিরেছে। ডিসি ডিবি (ইস্ট ডিভিশন) মাহবুবুল আলমের গাড়িতে সে বাসায় ফিরে। এরপর গোসল করে ঘুমাতে যায়। এসপি বাবুল আক্তার মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। তার স্ত্রী হত্যার মামলার তদন্তের বিষয়ে ‘আলোচনা করতে’ই তাকে ডেকে নেয়া হয়েছিল।
৫ জুন তার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়। বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব, সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিআই)।