![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)
ইতিকাফ বান্দাকে মুত্তাকি বানায়
আমিন ইকবাল : রমজানের শেষ দশদিনের সুন্নত ইতিকাফ বান্দাকে মুত্তাকি করে তোলে। দিনভর রোজা পালন শেষে রাতজুড়ে তারাবি, কিয়ামুল লাইল, লাইলাতুল কদর, কোরান তেলাওয়াত, জিকির-আজকার ইত্যাদি আমল করে বান্দা প্রভুর প্রিয় হয়ে উঠেন। দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের সময় ডটকম আয়োজিত রমজানবিষয়ক বিশেষ আয়োজন ‘আমাদের রমজান’-এ এসব কথা বলেন তরুণ আলেম মাওলানা সাইফুল ইসলাম রিয়াদ। মাওলানা রিয়াদ বলেন, ইতিকাফ হলো সব কাজ থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর ইবাদতের জন্য মসজিদে অবস্থান করা। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসের শেষ দশকে মসজিদে ইতিকাফ করতেন। যতদিন না আল্লাহ তাকে মৃত্যু দান করেছেন, ততদিন তিনি এ আমল অব্যাহত রেখেছেন। তার ইন্তেকালের পর তার স্ত্রীরা ইতিকাফ করেছেন। [বুখারি : ২০২৫]
তিনি বলেন, ইতিকাফ সাধারণত তিন প্রকার। ১. ওয়াজিব ইতিকাফ, ২. সুন্নত ইতিকাফ, ৩. নফল ইতিকাফ।
ওয়াজিব ইতিকাফ : কোনো ব্যক্তি যদি মান্নত করে যে, অমুক কাজটি হলে আমি ইতিকাফ করব। কাজটি হওয়ার পর মান্নত অনুযায়ী ইতিকাফ আদায় করাকে ওয়াজিব ইতিকাফ বলা হয়।
সুন্নত ইতিকাফ : রমজান মাসের শেষ দশদিনের ইতিকাফকে সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া বলা হয়। সুন্নত ইতিকাফ মহল্লার কোনো একজন ব্যক্তিও যদি আদায় করে নেয়, তাহলে এই সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। তবে কেউ-ই না করলে মহল্লার সবাই গুনাহগার হবে।
নফল ইতিকাফ : মান্নত এবং রমজানের ইতিকাফ ছাড়া অন্য সময় মসজিদে ইবাদতের উদ্দেশে ইতিকাফের নিয়ত করে প্রবেশ করাকে নফল ইতিকাফ বলে।
তিনি বলেন, ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ থেকে বের হওয়া তিন ধরনের হতে পারে।
১. মানবীয় প্রয়োজনে বের হওয়ার অনুমতি আছে। যেমন, প্রস্রাব-পায়খানা, খাওয়া-দাওয়া, পবিত্রতা অর্জনের জন্য। তবে শর্ত হলো এসব বিষয় যদি মসজিদের গণ্ডির মধ্যে সেরে নেওয়া যায়, তবে মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না। ২. এমন সব নেক আমল বা ইবাদত-বন্দেগির জন্য বের হওয়া যাবে না, যা তার জন্য অপরিহার্য নয়। যেমন রোগীর সেবা করা, জানাজাতে অংশ নেওয়া ইত্যাদি। ৩. এমন সব কাজের জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না, যা ইতিকাফের বিরোধী। যেমন ক্রয়-বিক্রয়, চাষাবাদ ইত্যাদি। ইতেকাফ অবস্থায় এসব কাজের জন্য মসজিদ থেকে বের হলে ইতেকাফ বাতিল হয়ে যায়।
দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র সহ-সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুবের উপস্থাপনায় তিনি আরও বলেন, স্ত্রীদের জন্য স্বামীর অনুমতি নিয়ে ইতিকাফ করতে হবে। অনুমতি ছাড়া স্ত্রীর ইতিকাফ স্বামী চাইলে বাতিল করে দিতে পারেন। তবে স্বামীদের উচিত স্ত্রীদেরকে অনুমতি দিয়ে ইতিকাফের ফজিলত অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম
![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)