৪ জুলাইয়ের ছুটি মুখোমুখি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাহীরা
জাফর আহমদ : সরকার ঘোষিত ৪ জুলাইয়ের ছুটি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যাংকসমূহের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন (এবিবি)। এবিবি ৪ তারিখে ব্যাংক খোলা রাখতে চায়। অন্যদিকে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক অফিসার্স বাংলাদেশের (এবিওবি) নেতারা বলেছেন, এবিবি ৪ তারিখে ছুটির দিনে ব্যাংক খোলা রাখার মধ্যদিয়ে সরকারের নির্বাহী আদেশকে অবজ্ঞা করেছে। তারা ৪ জুলাই এর সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ছুটি ভোগ করবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশ বলে ৪ জুলাই ছুটি। এ হিসাবে এক নাগাড়ে ৯ দিন ছুটি কাটাবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ ব্যাপারে এবিবির চেয়ারম্যান আনিছ এ খান আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, ব্যাংক কখনও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মে চলে না। ব্যাংক চলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক। ৪ জুলাইয়ের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও কোনো নির্দেশনা দেয়নি।
আনিছ এ খান বলেন, আমরা মনে করছিÑ বাংলাদেশ ব্যাংক ৪ জুলাই ব্যাংক খোলা রাখার ঘোষণা করবে। আমরা এ ব্যাপারে অফিস খোলা রাখার প্রস্তাবনা করেছি। কারণ ৯ দিন ছুটি থাকলে আমাদের গ্রাহকরা সমস্যায় পড়বে। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রত্যাশা করছি ৪ তারিখ খোলা থাকবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তারা সরকারি কর্মচারী, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকারি অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো অফিস করতে না চাইলে এ ব্যাপারে আপনাদের নির্দেশনা কি থাকবে- এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন চেয়ারম্যান আনিছ এ খান।
এ ব্যাপারে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক অফিসার্স বাংলাদেশের (এবিওবি) সদস্য সচিব আনিস মুন্সী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা জানিয়েছি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে (রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অংশ) সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ৪ তারিখে অফিস করব না।
তিনি বলেন, সারাদেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটি পালন করবে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে। এখন হঠাৎ করে ছুটি বাতিল করে অফিস করার নির্দেশ করলেও কাজে মনোযোগ থাকবে না। অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। এ ধরনের বৈষম্যও সৃষ্টি হবে। আমরা আশা করছি, ৪ জুলাই অফিস বন্ধ থাকবে। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি