প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হচ্ছে না ফি ফেরত দেবে স্কুলগুলো
দেলওয়ার হোসাইন : প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার (পিএসসি) জন্য কিছু স্কুল এরইমধ্যে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফি বাবদ ৬০ টাকা করে নিয়েছে। তবে পিএসসি পরীক্ষা এবছর থেকেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্কুলগুলো ফি ফেরত দেবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
২০০৯ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে কিছু স্কুল মে মাসে, কিছু স্কুল আগস্ট-সেপ্টেম্বরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ পরীক্ষার ফি আদায় করে আসছিল। গত ২১ জুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় এ বছর থেকেই প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা (পিএসসি) হবে না। একইসঙ্গে এ বছর থেকে অষ্টম শ্রেণি শেষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর গতকাল শনিবার এ প্রতিবেদককে বলেন, পিএসসি পরীক্ষা বন্ধের চিঠি পেলেই ফি বাবদ স্কুলগুলো যে টাকা নিয়েছে তা ফেরত দেওয়া হবে। পিএসসি পরীক্ষা বন্ধের বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তবে আমাদের কাছে এখনও কোনো চিঠি আসেনি।
তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে আরও সময় লাগবে। কারণ, মন্ত্রণালয়ের এ প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় আলোচনা করা হবে। এরপর বন্ধের সিদ্ধান্ত হবে।
একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের নির্দেশনা অনুসারে প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও পিএসসি পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা নিয়ে শিক্ষা অফিসারদের একাউন্টে জমা দেওয়া হয়েছে। এবছর পিএসসি পরীক্ষা না হলে কীভাবে এ টাকা ফেরত দেওয়া হবে তা আমরা জানি না।
ঢাকার ডেমরা উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেলিমা খাতুন বলেন, শিক্ষা বোর্ডগুলো পরীক্ষার কয়েকদিন আগে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে এ ফি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে থাকে। এত অল্প সময়ে এ কাজ সম্পন্ন করা যায় না। তাই প্রতিবারের ন্যায় এবারও পিএসসি পরীক্ষার ফি এ উপজেলার অনেক স্কুলে মে মাসে নেওয়া হয়েছে। তবে যেসব উপজেলায় স্কুল কম থাকে সেখানে একটু দেরিতে এ ফি আদায় করা হয়।
তিনি বলেন, এবছর থেকে পিএসসি পরীক্ষা হবে না এমন কোনো চিঠি আমরা এখনও পাইনি। চিঠি পেলে আমরা কেন্দ্র অনুযায়ী ডেকে সব স্কুলের টাকা ফেরত দেব। যেসব স্কুল ফি দিয়েছে এদের কাছে জমা দেওয়ার রশিদ রয়েছে। সেই রশিদ দেখালে হাতে হাতে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তবে বড় স্কুলগুলোর ক্ষেত্রে চেকের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
সেলিমা খাতুন বলেন, শিক্ষার্থীদের এ টাকা পরীক্ষার হল পরিদর্শকদের সম্মানি, পরীক্ষার খাতা কাটাসহ ইত্যাদি কাজে ব্যয় করা হয়। পিএসসি পরীক্ষার আনুষাঙ্গিক এ কাজ সম্পন্ন করার জন্য সরকার আরও ভর্তুকি দেয়। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী