অন্ধ্রপ্রদেশে মন্দিরের জমি থেকে মুসলিম ও দলিতদের উচ্ছেদের নির্দেশ
কায়কোবাদ মিলন : ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার হিন্দু মন্দিরের সম্পত্তি থেকে দলিত সম্প্রদায় ও মুসলমানদের উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছেÑ হিন্দুদের জন্য দানকৃত সম্পত্তি অন্য ধর্মের কেউ ভোগ বা চাষাবাদ করতে পারবে না। ২০১৫ সালেই এ আদেশটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এতদিন পর তা কার্যকরে তোড়জোর শুরু হয়ে গেছে। সম্প্রতি রাজ্য সরকার দলিত সম্প্রদায়কে জমি চাষে নিয়োজিত থাকতে চাইলে তারা আর খ্রিস্টান ধর্মাচরণের সাথে যুক্ত নয়, এ মর্মে সার্টিফিকেট দিতে বলেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
এদিকে মুসলিমদের নতুন আইন মোতাবেক মন্দিরের জমিতে চাষাবাদে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশে সাম্প্রতিককালে দলিত সম্প্রদায়ের বহু লোক খ্রিস্টান হলেও তাদের নাম পরিবর্তন করেনি। ফলে তারা ধর্মান্তরিত হয়েছে কি হয়নি তা নির্ধারণ সহজ নয়।
মুসলিম ইউনাইটেড ফ্রন্ট মেম্বর সরকারের এ সিদ্ধান্তকে অভূতপূর্ব উল্লেখ করে বলেছেন, গুনতুরের জুম্মা মসজিদের ৮০ ভাগ জমি অমুসলিমরা ব্যবহার করছে। দলিত সম্প্রদায়ের কাছে নোটিস পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, তারা দলিতদের চার্চ থেকে সার্টিফিকেট সংগ্রহের কথা বলেছেন। এদিকে এক দলিত কৃষক বলেছেন, চার্চের সার্টিফিকেট না পেলে তাকে হয়ত জমির অধিকার হারাতে হবে।
অন্ধ্রপ্রদেশে মন্দিরের সকল সম্পত্তি সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। ভাড়াটিয়া কৃষকরা মন্দিরের আয়ত্তাধীন তিন লাখ একর কৃষি জমিতে চাষাবাদ করে থাকে। এর মধ্যে ৩০ ভাগ দলিত। উল্লেখ্য, এভাবে অসংখ্য মন্দিরের জমিতে মুসলিম, দলিত, উপজাতিরা চাষাবাদ করছে। তাদের সকলকেই উচ্ছেদের নোটিস দেওয়া হয়েছে।
কেউ সার্টিফিকেট প্রদানে ব্যর্থ হলে রাজ্যের সরকার মাঠ কর্মকর্তাদের ভাড়াটিয়া চাষিদের উচ্ছেদে প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিতে বলেছে। এমনকি আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরেরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও বিজেপিনেতা মানিক্যালার সাথে টাইমস অব ইন্ডিয়া একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ