বিশ্বব্যাংকের বিকল্প এআইআইবির প্রথম ঋণ আসছে বাংলাদেশে
ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্বব্যাংকের বিকল্প হিসেবে গড়ে ওঠা এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোক্তা বাংলাদেশকে প্রথম ঋণ দিচ্ছে। গত শুক্রবার চীনভিত্তিক ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ চার দেশের চারটি প্রকল্পের জন্য ৫০ কোটি ৯০ লাখ ডলারের যে ঋণগুচ্ছ অনুমোদন করেছে, এর মধ্যে বাংলাদেশের সাড়ে ১৬ কোটি ডলারের একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পও রয়েছে।
এআইআইবির প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন বলেন, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, এআইআইবি উদ্বোধনের মাত্র ছয় মাস পর আজ ঋণের প্রথম গুচ্ছ অনুমোদন করেছে। জ্বালানি, নগর উন্নয়ন ও পরিবহন খাতসহ এসব প্রকল্প এ অঞ্চলের অবকাঠামো অর্থায়নের মারাত্মক ঘাটতি পূরণ করবে এবং আঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদার করবে।
গত বছরের নভেম্বরে ঢাকা সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে এআইআইবি প্রতিষ্ঠায় অবদান স্মরণ করে বিবেচনা করে বাংলাদেশকে প্রথম সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ব্যাংকটির মনোনীত প্রেসিডেন্ট লিকুন।
বাংলাদেশের এই সাড়ে ১৬ কোটি ডলার ব্যয় করা হবে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পে, যার আওতায় গ্রামাঞ্চলে ২৫ লাখ নতুন সংযোগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি সঞ্চালন উপকেন্দ্র উন্নয়ন ও ঢাকার উত্তরাংশে উপরে থাকা ৮৫ সার্কিট কিলোমিটার সরবরাহ লাইনকে মাটির নিচ দিয়ে নেওয়া হবে। এআইআইবি বলেছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্রামের সোয়া কোটি মানুষ উপকৃত হবে এবং এর ফলে আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন দিকে গুরুত্বপূর্ণ ও টেকসই প্রভাব পড়বে।
বাংলাদেশ ছাড়া বাকি তিন দেশের প্রকল্পে এআইআইবির সঙ্গে যৌথভাবে অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও ইউকে এইড। এগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার জন্য ২১ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, পাকিস্তানের জন্য ১০ কোটি ডলার ও তাজিকিস্তানের জন্য ২ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের ঋণ রয়েছে।
পশ্চিমা বিশ্বনিয়ন্ত্রিত বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এআইআইবি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য গত বছরের ৩০ জুন বেইজিংয়ে চুক্তি সই হয়। ওই বছরই সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ এআইআইবির সদস্য হওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় এবং সমঝোতা স্মারকে সই করে। এই ব্যাংকে ১০ হাজার কোটি ডলারের পরিশোধিত মূলধনের অর্ধেক জোগান দিয়েছে চীন। ৫ হাজার কোটি ৫০ বিলিয়ন ডলার জোগান দিচ্ছে অন্য ৫৬টি সদস্য দেশ। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী