ব্রিটেনের দ্রুত বিদায় চায় ইইউ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গণভোটে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পর ইইউ বলছে, ব্রিটেন যত দ্রুত বেরিয়ে যায় ততই ভালো। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন শাল্জ ইইউর এমন অবস্থান নিশ্চিত করেন। গণভোটের ফলাফলে প্রায় ৫২%-৪৮% ব্যবধানে ইইউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত জয় পাওয়ার পর শুক্রবার যুক্তরাজ্যের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে অক্টোবরে পদত্যাগের পর তার উত্তরসূরি এসে ব্রেক্সিট আলোচনা এগিয়ে নেবেন – ক্যামেরনের এই ঘোষণার কারণে ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগ প্রক্রিয়া দীর্ঘ হবে বলে সাবধান করেছেন মার্টিন। চ্যানেলআই
মার্টিন জানান, কোনো দেশের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগের প্রক্রিয়াটি দ্রুততর করার জন্য লিসবন চুক্তির ৫০ নং ধারায় কোনো সুযোগ রয়েছে কিনা ইইউর আইনজীবীরা তা খতিয়ে দেখছেন। ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে হিমশিম খাচ্ছে ইইউ’র সংগঠনগুলো। তবে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট বললেন, অনিশ্চয়তা একেবারেই কাম্য নয়। এর উল্টোটাই এখন প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ রাজনৈতিক দলের অন্তর্কোন্দলের হাতে পুরো একটা মহাদেশ জিম্মি হয়ে পড়বে এটা মেনে নেয়া খুব কষ্টকর।’ ‘এটি (ইইউ ছাড়ার প্রক্রিয়া) একমাত্র যুক্তরাজ্য সরকারের হাতেই রয়েছে কিনা এ ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে,’ বলেন মার্টিন, ‘আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, ইইউ ত্যাগের আলোচনা শুরুর জন্য অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্তটা একতরফা। গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হলেও এটিই শেষ কথা নয়।’
অনেকটা মার্টিনের কথারই প্রতিধ্বনি করলেন যেন ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ ইউংকার। তিনি বলেন, ব্রিটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়ার আলোচনা শুরু করার জন্য অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করার কোনো যুক্তিই নেই। জার্মানির এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইউংকার বলেন, ‘ব্রিটিশরা গত শুক্রবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা ইইউ ছাড়তে চায়। তাহলে প্রস্থানের শর্তাবলী নিয়ে আলোচনার জন্য অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করার কোনো মানে আমি দেখি না। আমি চাই প্রক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে শুরু হোক।’ তবে ইইউ ত্যাগের অন্যতম সমর্থক ও প্রচারক লন্ডনের সাবেক মেয়র বোরিস জনসন বলেছেন, ব্রিটেনই ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে ভোট দেয়া প্রথম সার্বভৌম দেশ। তাই ইইউ ত্যাগের প্রক্রিয়া ও প্রস্তুতিতে কোনোরকম তাড়াহুড়ো করা যাবে না। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ