বাংলাদেশি নাগরিক আলতাব আলী পার্ক ব্রিটেনের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু
লিহান লিমা: ১৯৭৮ সালে বৃটেনের বর্ণবাদী তিন তরুণের আক্রমণের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন বাংলাদেশি গার্মেন্টস কর্মী আলতাব আলী। পূর্ব লন্ডনের যে পার্কে তাকে হত্যা করা হয়েছিল তার নামেই সেই পার্কের নামকরণ করা হয় ‘আলতাব আলী পার্ক’। বর্তমানে লন্ডনের আলতাব আলী পার্ক আন্দোলন, আনন্দ, বিক্ষোভ ও শোক প্রকাশের অন্যতম স্থানে পরিণত হয়েছে। ভাইস
গত শুক্রবার বিকালে আলতাব আলী পার্কেই হাজারো বৃটিশ নাগরিক প্রতিবাদে সামিল হয়। ইইউ ত্যাগ করার পর অভিবাসীরা আরও ইংরেজি বর্ণবাদের শিকার হবে বলে প্রতিবাদ জানায়। ‘অভিবাসী অধিকার সুরক্ষা’ নামে প্রতিবাদটি হয়। এর আগে বিভিন্ন প্রগতিশীল বাম গোষ্ঠীগুলো আলতাব আলী পার্ক থেকে রুপার্ট মারডকের কার্যালয় পর্যন্ত মার্চমাস্ট করে। সবার মুখে ছিল, ‘অভিবাসীরা স্বাগতম, মারডক দূর হও। মারডক ব্রিক্সিটের অন্যতম ক্যাম্পেইনার।
আয়োজকদের মধ্যে একজন অনিন্দ্য ভট্টাচার্য বলেন, গণভোট যাই হোক না কেন এটি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে যাবে। বেক্সিট এর পক্ষে রায় অভিবাসী বিরোধীদের স্বার্থ রক্ষা করেছে।
আন্দোলনরত মানুষ আলতাব আলী পার্কে ভাষণ দিচ্ছেন। পোল্যান্ডের একটি বামপন্থী তৃণমূল রাজনৈতিক দল মিছিল করেছে। তাদের সবার অনুরোধ জাতীয়তাবাদের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিকতাবাদকে গ্রহণ করতে হবে।
ইকুয়েডরের অভিবাসী শ্রমিক, বিশ্ব ইউনিয়ন ইউনাইটেড ভয়েসের সদস্য অনুবাদকের মাধ্যমে তার কর্মস্থলে না গিয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট সম্পর্কে বক্তৃতা করেন। এটি বৃটেনের ইতিহাসে ল্যাটিন আমেরিকার শ্রমিকদের প্রথম ধর্মঘট। একজন মুখপাত্র বলেন, যেকোনো উপায়ে ন্যায় বিচার সুরক্ষা করতে হবে, বর্ণবাদ সাম্প্রদায়িক বিভক্তির একটি হাতিয়ার। এই সবই হয় আলতাব আলী পার্কে।
আন্দোলনরত নারীরা দ্য সান এর ভবনের সামনে আন্দোলন করেন। দ্য সানের সম্পাদক বেক্সিট এর বিজয়ের পক্ষে ছিলেন। এটি একটি প্রতীকি প্রতিবাদ ছিল। কেউ কেউ বিয়ন্সে বাজান। জনগণ নাচ, গান এবং পানীয় পান করেন। তারা কোনো সহিংসতার সৃষ্টি করেননি। এই সবই আলতাব আলী পার্কে হয়েছে। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ