লক্ষ্মীপুরে শিশুকন্যা হত্যা ঘাতক মা গ্রেফতার
জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর এলাকায় ১০ মাসের শিশু কন্যা রাইসাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে মা ইয়াছমিন আক্তারের বিরুদ্ধে। পরে ঘাতক মা ইয়াছমিন আক্তারকে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ভোররাতে। পুলিশ সকালে নিহত শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহত শিশু কন্যা রাইসা আক্তার ওই গ্রামের আবুল খায়েরের মেয়ে।
পুলিশ, নিহত শিশু কন্যার স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, আবুল খায়েরের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ায় আসক্ত। এ নিয়ে স্বামী-আবুল খায়ের ও স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তারের মধ্যে প্রায় ঝগড়া বিবেধ লেগে থাকত। এর জের ধরে শনিবার রাতের কোন এক সময় শিশু কন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে দেয় মা ইয়াছমিন আক্তার। ভোররাতে মেয়েকে পায়না বলে চিৎকার দেয় সে।
এসময় আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। পরে পাশের পুকুর থেকে শিশু কন্যা রাইসা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এসময় মা ইয়াছমিন আক্তারকে গণধোলাই দিয়ে গাছের সাথে বেধে রেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহত শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। অপরদিকে মা ইয়াছমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে মা ইয়াছমিন আক্তার জানান, ঘরের দু-পাশের দরজা খোলা ছিল। অন্য কেউ রাইসা আক্তারকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দিতে পারে।
সে কেন তার মেয়েকে হত্যা করবে। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করার দাবী জানান তিনি। নিহতের দাদী কোরফুলি বেগম ও বাবা আবুল খায়ের জানান, রাইসা আক্তারকে মা নিজে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। তার স্বভাব ভালো নয়। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান তারা।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন ভূঁইয়া জানান, শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক মা ইয়াছমিন আক্তারকে আটক করা হয়েছে। পরকীয়ার কারণে শিশু কন্যাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে পুলিশ।এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।