দর্জির দোকানে তরুণ-তরুণীদের উপচেপড়া ভিড়
নূর আলম সিদ্দিকী, নীলফামারী : আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করছে নীলফামারী জেলার দর্জি কারিগররা। ঈদ-উল-ফিতরের নতুন জামা কাপড় তৈরী করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন তারা। বর্তমানে তাদের রাতে ঘুম নেই।
দিনে রাতে চলছে পোশাক তৈরীর কাজ। ঈদের আগের রাতে তাদের এসব কাপড় সরবরাহ করতে হবে। পছন্দের পোশাক তৈরী করতে দর্জির দোকান গুলোতে উপচেপড়া ভিড় করছে গ্রাহকরা।
ঈদ উপলক্ষে নীলফামারী জেলায় প্রায় ২ হাজার এবং হাজারো দর্জি কারিগর ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। সকাল থেকে দিনে রাতে চলছে সেলাই ও কাপড় কাটিং এর কাজ। তাদের যেন দম ফেলার সময় নেই। দর্জি পাড়ার কারিগররা কেউ কাপড় কাটিং, কেউ সেলাই কেউবা মাপ ও বোটাম এবং কেউ প্যাকেট আয়রন নিয়ে ব্যস্ত। তারপরও কারিগররা হিমশিম খাচ্ছে এজন্য অতিরিক্ত শতাধিক শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে দোকানগুলোতে। দোকানগুলোতে তরুণ-তরুণী শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষের পদচারণায় মুখোরিত হয়ে ওঠেছে। যেন তিল ধরনের ঠাঁই নেই। কারণ কেনা পোশাক থেকে বানানো পোশাক অনেক ভালো। তাই দর্জির দোকানগুলোতে ভিড়। সৈয়দপুর লিটন টেইলার্স আলামিন এর দোকানে কথা হয় তরুণী প্রিয়ার সাথে। তিনি থ্রী পিস সেলাই করতে এসেছেন বলে জানান।
ওই দোকানে আসা শামছুল জানান, তিনি শার্ট ও প্যান্ট সেলাই করার জন্য এসেছেন। পরে তারা বলেন, দর্জি দোকান থেকে কাপড় সেলাই করলেই সেই কাপড় ফিটিং হয় এবং বানানও ভালো হয়। তাছাড়া রেডিমেট দোকানে একই নকশার অনেক কাপড় থাকে। তাই নিজের ইচ্ছামত বানাতে দর্জির দোকানে দেই। তবে গত বছরের থেকে এবার কাপড় প্রতি সেলাই ১শ থেকে ১৫০ টাকা বেশি। লিটন টেইলার্স এর মালিক আলামিন জানান, গত বছরের চেয়ে এবার অর্ডার ভালোই এসেছে।
অতিরিক্ত কারিগর নিয়োগ করে গ্রাহকের চাহিদা মত কাপড় তৈরী করা হচ্ছে। তারপরও গ্রাহকের চাহিদা মত কাপড় তৈরী করে সরবরাহ করে গ্রাহকের মন জয় করার চেষ্টা করছি।