ক্লাবের টাকা এখনও না পেয়ে ক্রিকেটারদের ঈদ নিয়ে চিন্তা
এল আর বাদল : সদ্য সমাপ্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়ানোর আগে ‘প্লেয়ার বাই চয়েস’ পদ্ধতির পাশাপাশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক প্রদানের ক্ষেত্রে ক্রিকেট বোর্ড যে নিয়ম বেঁধে দিয়েছিল, তার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাল ক্লাবগুলো। এখনও কোনো ক্লাব তার খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পুরোপুরি পরিশোধ করেনি। ক্রিকেটাররা আশায় বুধ বেঁধে আছেন, এই টাকা পেলে দেশে গিয়ে বাবা-মার সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন। কিন্তু ক্লাব নীরব বসে আছে। প্রিমিয়ার লিগে খেলা অধিকাংশ ক্রিকেটার তাদের মূল পারিশ্রমিকই পাননি। বোনাস তো দূরের কথা।
‘প্লেয়ার বাই চয়েজ পদ্ধতি’ করার পাশাপাশি বিসিবি এবার নিয়ম করে দিয়েছিল, লিগ শুরুর আগে সব খেলোয়াড়কে ৩০ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। লিগ শুরুর পর আর ৩০ শতাংশ। বাকি ৪০ শতাংশ দিতে হবে লিগ শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে। অবাক করার বিষয় হলো, শুধুমাত্র শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৬০ শতাংশ টাকা পরিশোধ করেছে। অন্যরা ৩০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ। শেখ জামালের খেলোয়াড়রা আবার চিন্তায় আছেন ঈদের আগে বাকি ৪০ শতাংশ পাওয়া নিয়ে। গত রোববার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দলগুলোকে টাকা পরিশোধ করতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। কিন্তু পরিবেশ বলছে ক্লাবগুলো সেই আল্টিমেটামকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছে।
পারিশ্রমিক পাওয়া নিয়ে সব চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছেন ক্রিকেট কোচিং স্কুলের (সিসিএস) খেলোয়াড়রা। ক্লাবটির খেলোয়াড় অমিত মজুমদার বলেন, আমরা অল্প কিছু টাকা পেয়েছি। বাকি টাকা এখনও পাইনি। ঈদের আগে দেওয়ার কথা। কিন্তু কোনো তোড়জোড় নেই। দলটির অধিনায়ক রাজিন সালেহ বিষয়টি নিয়ে ভীষণ হতাশ। তিনি বলছেন, তার ২১ বছরের ক্যারিয়ারে পাওনা পরিশোধ নিয়ে এমন বিশৃঙ্খলা দেখেননি। এর চেয়ে খ্যাপ খেললে ভালো হতো। ইচ্ছা করলে সিলেটে প্রচুর খ্যাপ খেলতে পারি। তা না করে প্রিমিয়ার লিগে খেলতে এসে এই দশা।
ব্রাদার্স ইউনিয়নের খেলোয়াড়দের অবস্থাও একইরকম। তারা প্রথম কিস্তির ৩০ শতাংশ পেয়েছেন। লিগ শেষ হলেও বাকি ৩০ শতাংশের কোনো খবর নাই। দলটির অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফিস বলছেন, ঈদ চলে আসায় তারা চিন্তায় পড়ে গেছেন। ক্লাব থেকে বলা হচ্ছে ফান্ড জোগাড় করার চেষ্টা চলছে। তাড়াতাড়ি নাকি পরিশোধ করা হবে। সম্পাদনা : পরাগমাঝি