ট্রান্সশিপমেন্টের কারণে বাজার হারানোর শঙ্কায় আখাউড়ার ব্যবসায়ীরা
আরিফুর রহমান : ট্রান্সশিপমেন্টের প্রভাবে রপ্তানি পণ্যের বাজার হারানোর আশঙ্কা করছেন আখাউড়ার ব্যবসায়ীরা। তাদের ধারণা এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে স্থানীয় কর্মসংস্থানেও। রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে পড়তে পারে বিরূপ প্রভাব। তবে এর সাথে একমত নন রাজস্ব কর্মকর্তারা। যমুনা টিভি
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিবেশী ভারতে কমপক্ষে ৩২টি পণ্য রপ্তানি করেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে রড, পাথর, সিমেন্টসহ ২৮টি পণ্য ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় রাখার দাবি ছিল আগে থেকেই। কিন্তু তা পূরণ না হওয়ায় হতাশ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘আমরা রপ্তানিকারক হিসেবে আমাদের বাজার হারাবো। রড, পাথর, সিমেন্ট যদি তারা নিয়ে যায় তাহলে আমাদের কোনো ব্যবসা থাকবে না। সবসময় যদি এভাবে পণ্য যেতে থাকে তাহলে আমাদের ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা যে পণ্যগুলো রপ্তানি করব সেই পণ্যগুলোর শুল্ক যেন, ট্রানজিটের পণ্যের সাথে সমন্বয় করা হয়। তাহলে আমরা বাজার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারব’।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রপ্তানিযোগ্য পণ্য ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে গেলে পথে বসবেন উদ্যোক্তারা। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে রপ্তানিযোগ্য পণ্য সমন্বয়ের দাবিও তাদের।
তবে ট্রান্সশিপমেন্টের কারণে রপ্তানি পণ্যের বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে রাজস্ব অফিস। প্রথম দফায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে এক হাজার টন রড যাচ্ছে ভারতে। প্রতি টনে শুল্ক দিতে হচ্ছে ১৯২ টাকা। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ