সুজন কৈরী : দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর থেকে বাসায়ই অবস্থান করছেন এসপি বাবুল আক্তার। গতকাল রোববার তিনি বাসা থেকে বের হননি। এছাড়া কোনো সংবাদকর্মীকেও ঢুকতে দেয়া হয়নি ওই বাসায়।
তবে বাবুলের শ্বশুর মোশারফ হোসেন সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ঘটনার তদন্তে অন্যদিকে মোড় নিতে পারে। তাই এ ধরনের সংবাদ প্রকাশে বিরত থাকার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানান সাবেক এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে, গতকাল খিলগাঁও মেরাদিয়ার ২২০/এ নম্বর হোল্ডিংয়ে বাবুলের শ্বশুরের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির সামনে পুলিশ সদস্যরা পাহারা দিচ্ছেন। খিলগাঁও থানার এসআই আল মামুনের নেতৃত্বে ১০ পুলিশ সদস্য রোস্টার অনুযায়ী ডিউটি করছেন । এসপি বাবুল আক্তার গৃহবন্দি কি না পুলিশ কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।
খিলগাঁও থানার ওসি মাইনুল হোসেন বলেন, এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যার পর থেকেই তার শ্বশুরের বাসায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বাসায় সাধারণ মানুষের আসা-যাওয়াও নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।
পুলিশের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাবুল আক্তারকে আপাতত আটক বা অভ্যন্তরীণ করা না হলেও তাকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন, স্ত্রী হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে গৃহবন্দি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুলিশের শীর্ষমহল।
নাম প্রকাশ না করে ওই কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার রাতে প্রথমে আইজিপির বাসায় বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার এবং পিবিআই সদর দফতরের একজন ডিআইজির উপস্থিতিতে মধ্যরাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তাকে গৃহবন্দি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পরে, মতিঝিল জোনের ডিসি আনোয়ার হোসেন এবং খিলগাঁও থানার ওসি মাইনুল হোসেন মেরাদিয়া ভুঁইয়া পাড়ায় তার শ্বশুর বাড়িতে বাবুল আক্তারকে রেখে আসেন। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি