কুষ্টিয়ায় ঈদের কেনাকাটায় অনলাইনের ছোঁয়া
আব্দুম মুনিব, কুষ্টিয়া : ঈদের সেই দিনটি যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠছে কুষ্টিয়ার ঈদের বাজার। ফুটপাত থেকে বড় বড় বিপণিবিতান সর্বত্র লোকালয়ের একই চেহারা। মাত্র কয়েকদিন পার হলেই ঈদুল ফিতর।
ফলে ঈদের আগেই চলছে বেচাকেনা। বরাবরের মতো এবারো ঈদের বাজারে ভারতীয় সব সিরিয়ালের বিভিন্ন বাহারি নামের সঙ্গে ছোয়া লেগেছে প্রযুক্তির। অনলাইনের মাধ্যমে অথবা অনলাইনের নামে বিক্রি হচ্ছে ঈদের পোষাক। ইতোমধ্যে ক্রেতা সামলাতে কুষ্টিয়ার দোকানিরা অতিরিক্ত লোক নিয়োগ দিয়েছেন। ব্যাসায়ীরা জানিয়েছেন কুষ্টিয়ায় এবারের ঈদ কেনাকাটায় অনলাইনের প্রবণতা বেড়েছে।
এবারের ঈদে মেয়েদের লেহেঙ্গা থেকে শুরু করে ছেলেদের পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে কুষ্টিয়ার ঈদ বাজারে। তবে তৈরি পোশাকের দোকান ছাড়াও, ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিসের প্রতি মানুষের ঝোঁক একটু বেশি। রয়েছে দেশীয় বিভিন্ন পোশাকের কদর। কুষ্টিয়ার ঈদ বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।
ঈদে অসংখ্য পছন্দের পণ্যের সমাহার রয়েছে ফেইসবুক ও আজকের ডেলসহ কয়েকটি ওয়েবসাইডে। সেই তালিকায় রয়েছে নারী পুরুষের বাহারী পোশাক শাড়ি থ্রি-পিচ, জুতা-সেন্ডেল এমনকি পারফিউমও। তাতে মুল্য তালিকাও দেয়া রয়েছে, রয়েছে ফোন নাম্বার। শুধুমাত্র পছন্দের পণ্যের কোড নাম্বার বলে অর্ডার করলেই কুরিয়ার কিংবা পাশের্^ল সার্ভিসের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে নিজ গন্তব্যে।
শহরের এনএস রোডের ব্যবসায়ী তন্ময় প্রসাধনীর মালিক বাবুল আজাদ সোনা জানান, অনলাইন কেনাকাটার কোন প্রভার স্থানীয় বাজারে পড়েনি। অনলাইনে যারা কেনাকাটা করছে তারা মনে করছে ভাল পণ্য পাচ্ছেন। আসলে তারা প্রতারিত হচ্ছেন। আমরা বুনিয়াদি ব্যবসায়ী। তাই অনলাইনের কারনে আমাদের ব্যবসায় কোন প্রভার পড়েনি। ভাল পণ্য কিনতে হলে বাজার আসতেই হবে এবং যাচাই করে কিনতে হবে। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা তথ্য প্রযুক্তির যুগে অনলাইনে কেনাকাটার পক্ষেই মত দিলেন। একই সঙ্গে কিছু বিড়ম্বনার কথা জানান।