ঈদের লম্বা ছুটিতে প্রস্তুত কক্সবাজার
কক্সবাজার প্রতিনিধি : প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে লাখ লাখ মানুষ জড়ো হয় পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে। ঈদকে সামনে রেখে পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত হোটেল-মোটেলগুলো। এবার ঈদে ৯ দিন সরকারি ছুটির কারণে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় হবে এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, পর্যটন এলাকায় ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলো সাজানো হচ্ছে নানা আকর্ষণীয় সাজে। হোটেল-মোটেলে পরিবর্তন করা হচ্ছে পুরনো জিনিসপত্র। দেওয়ালের পুরনো আস্তর তুলে লাগানো হচ্ছে প্লাস্টিক পেইন্ট। রেস্তোরাঁগুলোতে চলছে ধোয়ামোছা ও রঙ লাগানোর প্রতিযোগিতা। প্রশাসনের পক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে চলছে অগ্রীম বুকিং। যার ফলে পর্যটন শিল্প চাঙা হয়ে ওঠেছে।
কক্সবাজারের তারকা মানের হোটেল সী-গালের ফ্রন্ট ডেস্ক ম্যানেজার নুরে আলম জানান, অতীতের বিষয়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রতিবছর ঈদের ছুটিসহ নানা ছুটিতে ব্যাপক সংখ্যক পর্যটকের ভিড় হয় কক্সবাজারে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ইতোমধ্যে অগ্রীম বুকিংয়ের জন্য ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এবার ভিন্ন আঙ্গিকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। সরকারি ছুটি ৯ দিন হওয়ায় বাড়তি প্রস্তুতি নিচ্ছেন সকলেই। এই দীর্ঘ ছুটিতে যে কেউ কক্সবাজারে একবার আসার চেষ্টা করবেন এমনটি মনে হচ্ছে। আমরা পর্যটকদের বরণ করে নেওয়ার জন্য সব ধরনে প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছি। আশা করা যাচ্ছে এই ছুটিতে আমাদের ব্যবসাও ভালো হবে।
হোটেল দি কক্স টুডের রুম ডিভিশন অফিসার আবু তালেব শাহা জানান, এমন দীর্ঘ সরকারি ছুটি এর আগে কখনও হয়নি। এছাড়াও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটকের সংখ্যা কম ছিল। কিন্তু এখন সবকিছুই অনুকূলে রয়েছে। ইতোমধ্যে হোটেলের ৮০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে।
এদিকে হোটেল-মোটেল জোনের প্রায় প্রতিটি হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউসে চলছে সাজ-সজ্জার কাজ। এছাড়াও জেলা সদরের বাইরেও পর্যটন স্পট মহেশখালী, হিমছড়ি, ইনানী, দরিয়ানগর, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো সাজছে নতুন করে। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ এএসপি রায়হান কাজেমী বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমরা সজাগ রয়েছি।
এবারের ঈদ বর্ষায় হওয়াতে আমরা লাইফ গার্ডদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবো, যাতে পানিতে ডুবে কোনও পর্যটকের মৃত্যু না হয়। এছাড়াও আমরা টেকনাফ ও ইনানীতে ট্যুরিস্ট পুলিশের নতুন ক্যাম্প খুলেছি যেটা এর আগে ছিল না।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি মো. আলী হোসেন বলেন, পর্যটন শিল্প বিকাশে এবারের ঈদে পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আগাম সতর্কাদেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে করে কোনও পর্যটক হয়রানির শিকার না হয়।