কয়েক দিনের মধ্যে মিতুর বাকি খুনিরা ধরা পরবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিশ্চয়তা
আনিসুর রহমান তপন : আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার সঙ্গে জড়িত আরও দু-একজন ধরা পড়বে। সাংবাদিকদের কাছে এমন নিশ্চয়তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এ ঘটনায় জড়িত আরও দু-একজন ধরা পড়বে।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিতু হত্যায় ইতোমধ্যে গ্রেফতার হওয়া দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকিদেরও শনাক্ত করা হয়েছে।
মাঝরাতে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে ১৫ ঘণ্টা নিজেদের হেফাজতে রেখে আবার ছেড়ে দেয় পুলিশ। কেন এমন নাটকীয়তা করা হলো এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, গ্রেফতার হওয়া দুজন সম্পর্কে নিশ্চিত হতেই তাদের মুখোমুখি করা হয়েছে পুলিশ সুপারকে। কেন ও কি কারণে মিতুকে হত্যা করা হয়েছে এসব বিষয় জানার জন্যও আসামিদের মুখোমুখি করা হয়েছে বাবুলকে। মামলার প্রয়োজনে আবারও ডাকা হতে পারে পুলিশ সুপারকে এ কথাও বলেন তিনি। ওই হত্যাকা-ের বিষয়ে আরও প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যতটুকু জানি আপাতত ততটুকু বলেছি।
সংবাদ সম্মেলনে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও প্রচার সম্পর্কে আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে দেশে ৫০ হাজারের বেশি মাদকসংক্রান্ত মামলা ঝুলে আছে। নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এজন্য এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পৃথক আদালত গঠনের পরিকল্পনা করছে সরকার। এছাড়াও মাদকের অপব্যবহার ও এসব বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে আরও অধিক সংখ্যক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে এবং এর মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে মাদক পাচার প্রতিরোধে বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে আরও শক্তিশালী করা হবে। তাদের জনবল, যানবাহন ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসচেতন করে তুলতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সেলিং করা হবে। মাদক সেবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা ও তাদের পুনর্বাসন করার কথা ভাবছে সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খুব শীঘ্রই ১৯৯০ সালের মাদক আইন সংশোধন করে মাদকের ব্যবহার এবং অবৈধ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইনটিকে আরও আধুনিক করা হবে। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি