রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না
আমিন ইকবাল : রোজাদারের ডাকে আল্লাহ সাড়া দিয়ে থাকেন। হাদিসে আছে, রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় পালন করবে আল্লাহ তার অতীতের গোনাহ মাফ করে দেবেন।’ দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের সময় ডটকম আয়োজিত রমজানবিষয়ক বিশেষ আয়োজন ‘আমাদের রমজান’-এ এসব কথা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় মোফাসসির কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা মাকসুদ আল মাসুদ আযমী।
মাওলানা মাকসুদ আযমী বলেন, রমজানের রোজা মানুষের জীবনের সব গোনাহ মিটিয়ে দিতে পারে। রমজানকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রহমত, মাগফিরাত আর নাজাত। রমজানে দোয়া কবুলের বিষয়ে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ১. রোজাদারের দোয়া ইফতার করা পর্যন্ত ২. ন্যায়পরায়ণ বাদশাহর দোয়া ৩. মাজলুমের দোয়া।
অন্য হাদিসে আছে, বান্দা যখন সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের আগ মুহূর্তে ইফতার নিয়ে অপেক্ষা করে, আল্লাহ তখন ফেরেশতাদের ডেকে ডেকে বলতে থাকেন ও আমার ফেরেশতারা, দেখো আমার বান্দারা আমার হুকুমের অপেক্ষায় বসে আছে, তার জন্য আমি কী করতে পারি?’ তারপর আল্লাহ নিজেই বলেন, আমি আমার বান্দার সব গোনাহ মাফ করে দিলাম।
দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র সহ-সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুবের উপস্থাপনায় তিনি আরও বলেন, রমজান মাসে শেষ রাতে বান্দা যখন আমল করতে থাকেন, আল্লাহ বলেন, বান্দা তুমি আমার কাছে কী চাও? আমি তোমাদের তা দেব।’ তাছাড়া রমজানে আল্লাহর কাছে প্রার্থনার পথও সহজ করে দেওয়া হয়। পুরো মাসে শয়তানকে আবদ্ধ রাখা হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম