আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দলের নেতৃত্ব সংকট নিরসনে জরুরি আলোচনার পর নতুন মন্ত্রিসভার ঘোষণা দিয়েছেন লেবার নেতা জেরেমি করবিন। ছায়া মন্ত্রিসভা থেকে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করার পরই তিনি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন। দ্য গার্ডিয়ান
সোমবার (২৭ জুন) সকালে লেবার পার্টির উপ-প্রধান টম ওয়াটসনের সঙ্গে করবিনের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দলীয় নেতৃত্ব, ছায়া মন্ত্রিদের পদত্যাগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এর পরই নিয়োগ দেওয়া হলো নতুন ছায়া মন্ত্রীদের।
উল্লেখ্য, ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি বেনকে বহিষ্কারের পর তার অনুসরণে ১১ জন ছায়ামন্ত্রী ছায়া মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। এবার নিয়োগ দেওয়া হয় ১০জন নতুন ছায়ামন্ত্রীকে। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ছায়ামন্ত্রীরা হলেন, এমিলি থর্নবেরি (ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী), ডাইন অ্যাবোট (ছায়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী), প্যাট গ্লাস (ছায়া শিক্ষামন্ত্রী), অ্যান্ডি ম্যাকডোনাল্ড (ছায়া পরিবহনমন্ত্রী), ক্লাইভ লুইস (ছায়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী), রেবেকা লং বেইলি (ছায়া কোষাগারমন্ত্রী), কেইট ওসামোর (ছায়া আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নমন্ত্রী), র্যাচেল মাসকেল (পরিবেশ, খাদ্য ও গ্রাম বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী), ক্যাট স্মিথ (ছায়া যুবমন্ত্রী) এবং ডেভ এন্ডারসন (উত্তর আয়ারল্যান্ড বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী)।
এর আগে লেবার দলের দুই জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ করবিনের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছিলেন। পার্লামেন্টের লেবার দলীয় সংসদ সদস্য ডেম মার্গারেট হজ ও অ্যান কফি গত শুক্রবার পার্লামেন্টারি লেবার পার্টির (পিএলপি) চেয়ারম্যান জন ক্রায়ারের কাছে একটি প্রস্তাব পেশ করেন। সোমবার পিএলপির বৈঠকে জেরেমি করবিনের বিরুদ্ধে আস্থা ভোটের ব্যাপারে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হবে পরদিন মঙ্গলবার গোপন ব্যালটে আস্থা ভোট হবে কি না। তবে করবিনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তিনি পদত্যাগ করছেন না। করবিন মনে করেন, ব্রেক্সিট প্রশ্নে জনগণের এই অবস্থান লেবার রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে এসেছে। আবাসন, কর্মসংস্থান, সুরক্ষা, ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রশ্নসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিকল্প হাজির করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
করবিনের মতে, দলে যারা তার প্রতি অনাস্থা এনেছেন,তাদের সেই কাজ বাদ দিয়ে লেবার রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা পালন করা উচিত। উল্লেখ্য, দলের তৃণমূল কর্মীদের নিরঙ্কুশ সমর্থন নিয়ে লেবারদের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের আলাদা না হওয়ার পক্ষে অর্থাৎ ‘রিমেইন’ শিবিরের হয়ে প্রচারণা চালিয়েছিলেন লেবার নেতা জেরেমি করবিন। তবে ব্রিটিশ জনগণের রায় এর বিপক্ষে যাওয়ার পর দলীয় নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন তিনি। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ