আজাদ হোসেন সুমন : অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো ক্লুলেস মার্ডার অর্ধেক ডিটেক্ট হয়েছে আর অর্ধেক হয়নি এ রকম নজির নেই। ক্লুলেস মার্ডার ডিটেক্ট হলে আদ্যোপান্ত হয়। কিলিং মিশনে অংশ নেয়া পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুর হত্যাকারীচক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। তারপরও আলোচিত এ হত্যাকা- রহস্যের ঘেরাটোপে রয়ে গেছে। এমনটি বিস্ময়কর। পুলিশ এ হত্যাকা-ের নেপথ্য কারণ জানাতে গড়িমসি করছে। ফলে জনমনে মামলাটি তদন্তের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ সংশয় দানা বেধে উঠেছে। অনেকেই বলছেন কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে পড়ার আশঙ্কায় পুলিশ বিষয়টি নিয়ে আর এগোচ্ছে না। কারও কারও মনে প্রশ্ন জাগ আলোচিত এ হত্যাকা- রহস্যের ঘেরাটোপে রয়ে গেছে। এমনটি বিস্ময়কর। পুলিশ এ হত্যাকা-ের নেপথ্য কারণ জানাতে গড়িমসি করছে। ফলে জনমনে মামলাটি তদন্তের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ সংশয় দানা বেধে উঠেছে। অনেকেই বলছেন কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে পড়ার আশঙ্কায় পুলিশ বিষয়টি নিয়ে আর এগোচ্ছে না। কারও কারও মনে প্রশ্ন জাগছে, এ মামলার তদন্ত কি তাহলে চাঞ্চল্যকর সাগর-রুনি ও তনু হত্যা মামলার মতই অন্ধকারে রয়ে যাবে?
তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বক্তব্য থেকেই অসঙ্গতি প্রকাশ পেয়েছে। তারা ইতোমধ্যে দেশের একটি শীর্ষ দৈনিককে বলেছেন, বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্মিত হয়েছি- পুলিশের ভাবমূর্তি বিবেচনায় যা এখনই বলা যাচ্ছে না।
বাবুলের বিশ্বস্ত সোর্সরাই হত্যাকা-ে জড়িত হওয়ায় এবং কার নির্দেশে মিতুকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে জানা সত্ত্বেও পুলিশ পরিষ্কার করে কিছু না বলায় জনমনে সন্দেহ বিরাজ করছে। পুলিশ এ বিষয়ে যত বেশি রাখ ঢাক করছে। সন্দেহ ও সংশয় ততই বাড়ছে।
একাধিক অপরাধ বিশেষজ্ঞের মতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো চাঞ্চল্যকর ঘটনার প্রকৃত রহস্য আড়াল করার চেষ্টা করলে ফল শুভ হয় না। এর আগে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় জজ মিয়া নাটকও মানুষ দেখেছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে প্রকৃত ঘটনা সবার সামনে কাঁচের মত স্বচ্ছ হয়ে গেছে। তাদের মতে সাধারণ মানুষ এখন অনেক সচেতন। বিশেষ করে ফেসবুকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ নিজেরা নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করতে পারে। মিতু হত্যাকা-ের ঘটনায় সম্পৃক্ত হয়েছে লাখো মানুষ। সুতরাং এখানেই কোনো গোঁজামিল দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাদের মতে, মিতু হত্যাকারীরা যেহেতু বিস্তারিত জানিয়েছে সেহেতু পুলিশ হত্যার কারণ ও নেপথ্যে কে সেটা জানে। কৌশলগত বা সিদ্ধান্তজনিত কারণে সেদিকে অগ্রসর হতে দেরি করছে। এও হতে পারে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য কালক্ষেপন করা হচ্ছে। তবে স্পর্শকাতর এ বিষয়টি নিয়ে খোদ পুলিশই যেহেতু পিংপং খেলছে সেহেতু এ ব্যাপারে কেউই সরাসরি কোনো মন্তব্য করার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
এ ব্যাপারে গতকাল পুলিশ সদর দফতরে এআইজি মোখলেসুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি। একই কথা বলেছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াও। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি